বালুরঘাট: ১৫ বছর আগে সেতু নির্মাণ করেছিল বাম সরকার। সেতু হলেও আজ অবধি রাস্তা হয়নি। এখনও মাটির রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। এদিকে গ্রামের কাছেই হাসপাতাল। কিন্তু সেই হাসপাতালে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। এমনকি বর্ষাকালে রাস্তা এতটাই বেহাল থাকে যে অসুস্থ রোগীকে রাতের খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় গ্রামবাসীদের। যা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গলপুর গ্রামে। শুক্রবার এনিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়। এদিকে রাস্তা নিয়ে বিজেপি ও বাম তৃণমূলকেই দায়ী করেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। রাস্তাটি খুব খারাপ হলে দ্রুত তা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।‘
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙ্গা ফরেস্ট রয়েছে। সেই ফরেস্টের পাশেই জঙ্গলপুর গ্রাম। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। এদিকে ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে। ওই রাস্তা দিয়ে একদিকে যেমন হাসপাতালে যাওয়া যায়। অন্যদিকে, মাহিনগরেও যাওয়া যায়। কিন্তু প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা শুধুই ইটের। আবার কোথাও মাটির রাস্তা। ওই গ্রামের ধারেই ডাঙ্গা খাঁড়ি প্রবাহিত হয়েছে। ২০০৮ সালে ওই খাঁড়ির উপরে পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আজ অবধি পাকা রাস্তা হয়নি। ফলে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সহ নানা জায়গায় যেতে সমস্যা হয়। বাসিন্দাদের বাইক কিংবা টোটো নিয়ে ১০ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। এমনকি অসুস্থ রোগীকে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেই কারণেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।