উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শাসকদলের নজরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রমৃত্যুর পর থেকে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে তৎপরতা দেখা গেছে তৃণমূল শিবিরে।এবার সেই তৎপরতা আরও জোরদার করতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় টিএমসিপি-র সহ-সভাপতি রাজন্যা হালদারকে। সঞ্জীব প্রামাণিককে করা হল চেয়ারপার্সন। উনি বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট পর্যবেক্ষক।
শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজন্যা হালদারকে করা হয় ইউনিট সভাপতি। রাজনীতির আঙিনায় রাজন্যার আত্মপ্রকাশ ঘটে তৃণমূলের একুশের জুলাই এর শদিহমঞ্চে।নিজের জ্বালাময় ভাষণে মন কেড়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরের। সুত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাকে একুশের মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তবে রাজনীতিতে তার হাতেঘড়ি ২০১৭ সালে।প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক হওয়ার পর বর্তমানে তিনি পিএইচডি করছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল ছাত্র যুব সংগঠনের সহ-সভাপতিও রাজন্যা। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জয়ী’ ব্যান্ডের একজন সদস্যাও।
স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেবেন রাজন্যা এটাই কাম্য। তিনি বলেন, “এই বাম অতিবামদের চিনে নিন। বর্জন করুন ওদের। ওরা খুনি। ওরা আমার এক ভাইকে খুন করেছে। সেটা ঢাকা দেওয়ার জন্য ওরা তৎপর। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিতে এলে আমাদের অত্যাচার করেছে। আমাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের মেরেছে। ওরা প্রোগ্রেসিভ বলে নিজেদের! এটা ওদের প্রগতিশীলতা?”
প্রসঙ্গত, রাজন্যাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়া। অন্যদিকে নিন্দুকেরা দাবি করছেন একুশের মঞ্চে মমতা বন্দনা করার পুরস্কার দিয়েছে শাসকদল।