রায়গঞ্জ: ট্রেনে বিনা টিকিটে জনগর্জন সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ধুন্ধুমার কাণ্ড রায়গঞ্জ রেলস্টেশনে। শুক্রবার জেনারেল কামরায় আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই দল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মহিলা তৃণমূলকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের মারধর করা হয়েছে। নোংরা ভাষা বলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রবিবার বিগ্রেডে অনুষ্ঠিত হবে জনগর্জন সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের বেশকিছু কর্মী রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা দেন। আজও বেশকিছু কর্মী কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেবেন। অধিকাংশ দলীয় কর্মী বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে পড়েন। এরপর ট্রেনে আসন নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে হয়ে যায়। মহিলা কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা দাবি বলেন, ‘দিদির সভায় যাচ্ছি টিকিট কেন লাগবে? দিদি রাজ্যে যে উন্নয়ন করেছেন সেগুলো তুলে ধরবেন। আমাদের দলীয় ব্যাচটাই টিকিট।‘ মহিলা কর্মী রীনা বেগম বলেন, ‘ব্রিগেডের মিটিংয়ে যাচ্ছি। আমরা যারা আশাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী আছি দিদি তাঁদের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। মহিলাদের জন্য অনেক কিছু ভাবছেন দিদি,তাই যাচ্ছি। ট্রেনের টিকিট কাটিনি, ব্যাচটাই আমাদের টিকিট।‘
স্টেশনে আসা তৃণমূল নেতাদের সাফাই, সবার টিকিট কাটা ছিল। দু-একজন টিকিট কাটতে পারেনি। তাঁদের টিকিট পরে কেটে দেওয়া হয়। রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি তপন নাগ অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজেপি ও সিপিএম ভয় পেয়ে এইসব অভিযোগ করেছে। তৃণমূল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। তাই নিজেদের মধ্যে কোনও ঝামেলাই হয়নি।‘ অন্যদিকে, সিপিএম নেতা তীর্থ দাসের দাবি, ‘রাজ্যটাকে ১৩ বছরে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন দলের নেতারাই ভালো জানেন। ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের কথা ওরা ভাবেই না।‘