উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ জনগর্জন সভায় (Jangarjan meeting) না গেলে হারাতে হবে পদ। জনগর্জনের প্রচার সভায় এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মানস ভুঁইঞা। ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে জনগর্জন সভা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সভাকে সফল করতে রাজ্য জুড়ে জোর প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সবংয়েও জনগর্জন সভার প্রস্তুতি সভা হয়। সেখানে মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা (Manas Bhunia)। এই সভায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন মানস। তিনি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন, ‘যে নেতা-নেত্রী ১০ মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় যাবেন না, ১১ মার্চ তাঁরা পদ হারাবেন। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
সবংয়ের সভামঞ্চে দাঁড়িয়েই মানস ভুঁইঞা বলেন, ‘নেতৃবৃন্দকে সাবধান করছি, যে নেতা বা নেত্রী বিগ্রেডে যাবেন না, ১১ তারিখ তাঁরা পদ হারাবেন। কোনও লোকের পদ থাকবে না। এই মঞ্চে যত গুলো নেতা রয়েছে, একটা লোকেরও পদ থাকবে না, যদি ব্রিগেডে না যায়। একটা নেতারও পদ থাকবে না। সবাইকে সাবধান করছি।’
সবং বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি নিয়েই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “কী অবস্থা ভাবুন। সারা জীবন দল করে যাব। কিন্তু যদি কোনও কারণে ব্রিগেডে না যেতে পারি, পদ চলে যাবে। আসলে মানসবাবুর পদ যাবে। ওঁকে তো টার্গেট দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এত লোক আনতে হবে। না হলে পদ চলে যেতে পারে, শুধু পদ যাবে না, মার্ডার কেসটাও উঠতে পারে, ওঁর মন্ত্রিত্ব যেতে পারে, পরেরবার টিকিট না পেতে পারে। ওকে তো মার্ডার কেসের ভয় দেখিয়েই দলে টেনেছিল। আমি ছোটবয়স থেকে মানসবাবুকে চিনি।”