রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: পরিকল্পনামাফিক সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে শিলিগুড়িতে আসছে ত্রিপুরার(Tripura) সিংহ। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার সিপাইজলা চিড়িয়াখানা থেকে দুটো করে সিংহ(Lion) এবং চশমামুখো বাঁদর রওনা হবে বেঙ্গল সাফারির(Bengal Safari) উদ্দেশ্যে। চলতি মাসের ১১ তারিখ সাফারি পার্কে পৌঁছানোর কথা রয়েছে পশুরাজ ও বাঁদরদের। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
সিংহ এবং চশমামুখো বাঁদরের জন্য এনক্লোজার তৈরি শেষ। সিংহ জুটিকে প্রথমে কিছুদিন কোয়ারান্টিনে রাখা হবে। এরপর তাদের জনসমক্ষে ছাড়া হবে। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী জানিয়েছেন, এখনও ত্রিপুরা থেকে সিংহ রওনা হয়নি। তবে সাফারি পার্কে সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অ্যানিমাল এক্সচেঞ্জ প্রক্রিয়ায় ত্রিপুরার সিপাইজলা চিড়িয়াখানা থেকে দুটি সিংহ আনা হচ্ছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। তার বদলে এখান থেকে দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুটি লেপার্ড সহ বেশ কিছু বিদেশি পাখি পাঠানো হয়েছে। গত তিন তারিখ সাফারি পার্ক থেকে ওই প্রাণীগুলিকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা করানো হয়। পাঁচ তারিখ বিকেলে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে।
এবার ত্রিপুরা থেকে পশুরাজের আসার পালা শিলিগুড়িতে(Siliguri)। সিংহের জন্য একটি পৃথক এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পানীয় জল থেকে শুরু করে গরমকালের জন্যে ছোট ছোট গর্ত রাখা হচ্ছে। সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে ওই গর্তগুলো। গরমের সময় সেখানে জল দেওয়া হবে, যাতে সিংহগুলো শরীর ভিজিয়ে নিতে পারে।
একটি মর্দা এবং একটি মাদি সিংহ আনা হচ্ছে। সাধারণত মর্দা সিংহ দিনে অন্তত সাত কেজি গোরু কিংবা মোষের মাংস খায়। মাদি সিংহের প্রয়োজন হয় সাড়ে চার থেকে পাঁচ কেজি মাংস। এখানেও প্রতিদিন সেই খাবার দেওয়া হবে। সাধারণ সময় তিন থেকে চার লিটার পানীয় জল প্রয়োজন সিংহদের। সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঠান্ডার জন্য রুম হিটার থাকছে। পাশাপাশি শিলিগুড়িতে আসার পর কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি দেওয়া হবে। তবে যাত্রাপথে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য চিকিৎসক এবং লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম সমেত অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। শিলিগুড়িতে আসার পর সিংহদ্বয়ের দেখাশোনার জন্যে দুজন কর্মীও নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।