শিলিগুড়ি: বুলেট ভরা বন্দুক সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ভক্তিনগর থানার কাছে গোপন সূত্র মারফত খবর আসে, পায়েল মোড়ের পেছনে এক ব্যক্তি কোমরে বন্দুক নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ওয়ান শাটার বন্দুক সহ একটি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম নিতাই রাজবংশী। বাড়ি একতিয়াশাল। অপরাধমূলক কাজের জন্যই ওই ব্যক্তি এসেছিল বলে ভক্তিনগর থানার পুলিশের অনুমান।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে আটটার দিকে এয়ারভিউ মোড় সংলগ্ন মহানন্দা সেতুর ঠিক নীচে কুলিপাড়ায় বন্দুক (ওয়ান শাটার) নিয়ে ঘুরছিল আর এক তরুণ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন্দুক সহ ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ। তার নাম অর্জুন প্রসাদ। এরপরই কুলিপাড়ার ওই জায়গা থেকে কিছুটা দূরেই মহানন্দা চরে প্রায় এগারোজনের দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছে বলে খবর আসে। প্রধাননগর থানার সাদা পোশাকের পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে কয়েকজন নদী পেরিয়ে পালিয়ে গেলেও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, গুরুংবস্তিতে একটি বাড়িতে ডাকাতির জন্যই তারা জড়ো হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, বন্দুক সহ গ্রেপ্তার হওয়া অর্জুন মাল্লাগুড়ির সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা হলেও ডাকাতির ওই দলে যোগ দেওয়ার জন্যই কি কুলিপাড়ায় মহানন্দা সেতুর নীচে বুলেট ভরা বন্দুক নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল? নাকি অন্য কোনও অপরাধমূলক কাজের জন্য সে বন্দুক নিয়ে ঘুরছিল? ওই বন্দুক, বুলেটই বা পেল কোথা থেকে? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে তাকে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে প্রধাননগর থানা। প্রসঙ্গত, অর্জুনের বিরুদ্ধে এর আগেও চুরি, ছিনতাইয়ের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, ভরসন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় বন্দুক নিয়ে এক তরুণের ঘোরাফেরায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শহরের বাসিন্দা পরিতোষ সরকারের কথায়, ‘গত কয়েকদিন আগেই লিফট দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে সর্বস্ব লুটের ঘটনা ঘটেছিল। এবারে অপরাধমূলক কাজ করার জন্য বন্দুক নিয়ে ঘোরা সত্যিই আশঙ্কার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ মেয়র গৌতম দেব বলছেন, ‘আমাদের শহর বিভিন্ন রাজ্য ও দেশের সীমানায় ঘেরা। পুলিশকে বাহবা দিতেই হবে কারণ ওরা সঠিক সময় ধরেছে।’
এদিকে, মহানন্দা চরে ডাকাতির জন্য জড়ো হওয়া দুষ্কৃতীদের মধ্যে ধৃতরা বিভিন্ন জায়গা থেকে জড়ো হয়েছিল। এর মধ্যে অঞ্জয় শর্মা কুলিপাড়ারই বাসিন্দা। শান্তালাল রাজভর দেবীডাঙ্গার বাসিন্দা। করণ সুব্বা ও বিগান মাহাতো গুরুংবস্তির বাসিন্দা, অমিত থাপা তিনধারিয়ার বাসিন্দা।