গজলডোবা: গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে উদ্ধার হল দুজনের মৃতদেহ। রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার জানিয়েছেন, দেহ দুটি স্থানীয় কারও নয়। সেগুলি তিস্তার জলেই ভেসে এসেছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে দেহ উদ্ধার থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, তিস্তা ব্যারেজ ডিভিশনের সেচ, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থল রয়েছেন। তাঁরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।
মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে উত্তর সিকিমের চুংথাংয়ে দক্ষিণ লোনাক হ্রদে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়। যার জেরে হ্রদের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সেই জল ঢুকেছে তিস্তায়। জল ধরে রাখতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এদিন সকাল ১০টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউমেক। এতে নদীর জলস্তর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, দেখা দিয়েছে হড়পা।
বুধবার সকাল ১০টায় তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিস্তার দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। জলপাইগুড়ির দোমোহনি, কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জেও তিস্তায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জলস্তর আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে।