নাগরাকাটা: বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল জোড়া হাতির! মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে বামনডাঙ্গা চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশন লাগোয়া ডায়না নদীর চরে। এলাকাটি নাথুয়া রেঞ্জের অন্তর্গত। বুধবার সকালে গোরু চড়াতে গিয়ে স্থানীয়দের একাংশ পরপর দুটি হাতিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর চাউর হতেই শয়ে শয়ে লোক ভিড় জমান সেখানে। আসেন বন দপ্তরের নাথুয়া, ডায়না সহ একাধিক রেঞ্জের কর্মীরা। নাথুয়ার রেঞ্জার রাজকুমার পাল বলেন, ‘বাজ পড়েই যে হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয় নেই। দেহ দুটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।’
বামনডাঙ্গা চা বাগান হাতির ডেরা হিসেবেই পরিচিত। একপাশে ডায়না ও নাথুয়া এবং অন্য পাশের গরুমারা জঙ্গল থেকে প্রতিদিনই এখানে হাতি ঢুকে বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লা দাপিয়ে বেড়ায়। বাগানটির এমন কোনও শ্রমিক আবাস নেই যা হাতির অত্যাচার মুক্ত। পাশাপাশি, মাঝে মাঝেই সেখানে কখনও দলছুট আবার কখনও পাল হাতি খাবারের লোভে হামলা চালায় স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, র্যাশন দোকানে। এককথায় হাতির সঙ্গেই বাস ওই বাগানটির ছয় হাজার বাসিন্দার।
মঙ্গলবার রাতে ওই হাতি দুটি নাথুয়ার জঙ্গল থেকে ডায়না নদী পেরিয়ে বামনডাঙ্গার গুদাম লাইন নামে একটি শ্রমিক মহল্লার দিকে এগোচ্ছিল। পথে ১৪ নম্বর সেকশনে নদীর চরের ঘাস জমিতে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দুটি হাতিই পূর্ণবয়স্ক। একটি পুরুষ এবং অপরটি স্ত্রী বলে বন দপ্তর জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বামনডাঙার সঞ্জীল লোহার নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘রাত ১০-১১টার মধ্যে বাজ পড়ছিল।’ গণেশ মাহালি নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘মাসখানেক আগে এই পঞ্চায়েতেরই খয়েরবাড়ি এলাকায় বাজ পড়ে ১২টি মোষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার দুটি হাতি মারা গেল।’