ফাঁসিদেওয়া: জোড়া কুনকিকে কাজে লাগিয়ে ফাঁসিদেওয়া লাগোয়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ফেরানো হল দুটি হাতিকে(Elephant)। ফেরানোর আগে দুটি হাতিকেই ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয়। পরে হাইড্রোলিক ক্রেনে করে তুলে ট্রাকে করে হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরানো হয়। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে কালঘাম ছুটে যায় বনকর্মী ও পুলিশের।
গত সোমবার বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের আমবাড়ি রেঞ্জের জঙ্গল(Forest) থেকে দুটি হাতি বেরিয়ে ফুলবাড়ি দিয়ে ফাঁসিদেওয়া এলাকায় চলে যায়। সেখানকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে হাতিগুলি ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায়। সেখানকার তেতুলিয়ার কাশিমগঞ্জে গিয়ে ভুট্টাখেতে আটকে পড়ে হাতি দুটি। সেখানে হাতির হামলায় বাংলাদেশের এক তরুণীর মৃত্যু হয় বলে সেদেশের প্রশাসন সূত্রে খবর। এরপর বহু কাঠখড় পুড়িয়ে হাতি দুটিকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। বুধবার রাতে হাতিগুলি মুড়িখাওয়া সীমান্ত লাগোয়া কাঁটাতারহীন সীমান্ত দিয়ে বড়বিল্লায় বিএসএফ ক্যাম্প লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। বৃহষ্পতিবার সারাদিন ওই জঙ্গলেই থাকে হাতিগুলি। শুক্রবার সকাল থেকেই ফের হাতিদুটিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেখা যায়। ফলে বাধ্য হয়েই হাতিদুটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করার সিদ্ধান্ত নেন বনকর্মীরা। সেই মতো গরুমারা থেকে আনা হয় দুটি কুনকিকে। সেগুলিকে জিরো পয়েন্টে পাঠিয়ে হাতিদুটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করে ট্রাকে উঠিয়ে জঙ্গলে ফেরানো হয়।