উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। প্রথম দিনই দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় এক কংগ্রেসকর্মীর। অধিকাংশ জায়গায় শাসকদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এ বার মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে গ্রেপ্তার হলেন শাসকদলেরই ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সালারে। ধৃত তিন জনই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামী বলে জানিয়েছেন দলেরই একাংশ।
শুক্রবার তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালার। অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই তদন্ত নেমে পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম আব্দুল আজিজ মির্জা ওরফে ভুটার, ফিরোজ শেখ ওরফে তপন এবং রোহন শেখ। তাঁরা বিধায়ক হুমায়ূন কবীরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এলাকায়। এঁদের মধ্যে আব্দুল ভরতপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ, ফিরোজ কর্মাধ্যক্ষ এবং রোহন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী।
এই তিন জনের গ্রেপ্তারি নিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়া আটকাতে জনপ্রতিনিধিদের পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে নিজে এলাকা দখল করতে চাইছেন ওই ব্লক সভাপতি। প্রয়োজন হলে গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা জেল থেকেই ভোটে লড়বেন।’’
এই প্রসঙ্গে ভরতপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগ ছিল তিন জনের। আইন নিজের হাতে তুলে নিলে প্রশাসন তো ব্যবস্থা নেবেই। এ ক্ষেত্রে দলের কিছু বলার নেই।’’