নাগরাকাটা: অভাবের সংসারে থেকেও উচ্চমাধ্যমিক নজর কাড়ল নাগরাকাটা ব্লকের দুই কন্যা। তাদের একজন খাসবস্তীর শদিক্ছা ছেত্রী। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে সে পেয়েছে ৪৫৬ নম্বর, শতাংশের হিসেবে ৯১.২। অপরজন হলেন সুলকাপাড়ার আলিফা সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৪। শতাংশের হিসেবে ৯০.৮।
চ্যাংমারি টিই হাইস্কুলের ছাত্রী শদিক্ছা হিন্দিতে ৮০, ইংরেজীতে ৯৭, ভূগোলে ৯০, ইতিহাসে ৮৭, রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ৯২ ও অর্থনীতিতে ৯০ পেয়েছে। সে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে পরবর্তীতে সরকারি আধিকারিক হতে চায়।
অন্যদিকে, আলিফা বাংলায় ৭৭, ইংরেজীতে ৯০, শিক্ষা বিজ্ঞানে ৯৬, ভূগোলে ৮৪, রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ৯০ ও ইতিহাসে ৯৪ পেয়েছে। সে নার্স হতে চায়। যদিও পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে তাদের সেই কতটা স্বপ্ন কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান দুই ছাত্রী।
শদিক্ছার বাবা ওমপ্রকাশ ছেত্রী বলেন, ‘পিক আপ ভ্যান চালিয়ে যা আয় করি, তা দিয়ে ৫ জনের সংসার ঠিকমতো চলে না। মেয়েকে এখন কীভাবে কলেজে পড়াব বুঝে উঠতে পারছি না।’ সুলকাপাড়ার বাসিন্দা আলিফার বাবা আলতাফ হুসেন সরকার পেশায় টোটো চালক। তিনি বলেছেন, ‘মেয়ে আমার ছোট থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী। গ্রামের স্কুলেই পড়েছে। ওঁর ইচ্ছে পূরণ করতে পারব কিনা জানা নেই।’
ওই দুই ছাত্রীর পাশাপাশি নাগরাকাটা থেকে নির্জলা লামা নামে আরেক ছাত্রীও তাক লাগানো ফল করেছে। একলব্য মডেল স্কুল থেকে সেও আলিফার মতোই ৪৫৪ পেয়েছে। হিন্দিতে ৭৬, ইংরেজীতে ৯১, ভূগোলে ৮৩, ইতিহাসে ৯১, রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ৯২ ও অর্থনীতিতে ৯৭ নম্বর পেয়েছে নির্জলা। ছাত্রীদের এমন ফলে পরিবারের লোকজন তো বটেই খুশি প্রতিবেশীরাও।