বালুরঘাট: বেশ কিছুদিন আগে মালদায় বামনগোলার পাকুয়াহাটে মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। এবারে বালুরঘাটে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল। ওই তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মাঝবয়সি এক ব্যক্তির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। লোকসভা ভোট দোরগোড়ায়। সন্দেশখালির ঘটনা ইতিমধ্যেই এবারের ভোটের অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠেছে। বালুরঘাটের ঘটনাটি এই পর্বে আরেক সংযোজন বলেই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
অভিযোগ, ওই তরুণীকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হত বলে নালিশ জানিয়ে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবার থানার দ্বারস্থ হয়েছিল। ওই তরুণী বালুরঘাট শহর এলাকার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি তাঁকে মাঝেমধ্যেই কুপ্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ ছিল। এর জেরে ২০২২ সালে মাঝবয়সি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়। ওই মামলা আজও চলছে। সেই ঘটনার প্রায় দু’বছরের মাথায় বালুরঘাটের ওই তরুণীকে ফের নিগ্রহের শিকার হতে হল। অভিযোগ, মামলা না তোলায় ওই ব্যক্তি গত শনিবার রাতে ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। প্রতিবেশী ওই তরুণীকে ইট নিয়ে আক্রমণ করার পাশাপাশি রাস্তায় বিবস্ত্র করে মাটিতে ফেলে পেটানো হয় বলে ওই তরুণীর মায়ের দাবি। ওই তরুণী বর্তমানে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সবকিছু জানিয়ে ওই তরুণীর মা মঙ্গলবার বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি সবসময় আমার মেয়েকে কুনজরে দেখত। আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেছিল। তাই তার বিরুদ্ধে বছর দুয়েক আগে মামলাও দায়ের করেছিলাম। যেহেতু মামলা করেছি, তাই মেয়েকে বারবার হুমকি দেওয়া হত। শনিবার রাতে আমার মেয়েকে রাস্তায় পেয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। আমার মেয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য এতদিন ব্যস্ত থাকায় আজ অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ মানতে নারাজ। এদিন তিনিও বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘দু’বছর আগেই আমাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়। তবুও আমি ও আমার বৃদ্ধা মা মুখ বুঝে সহ্য করে আসছি। ওই তরুণী ও তার মা মিলে ক্রমাগত মানসিক হয়রানি চালিয়ে আমাদের এলাকাছাড়া করার পরিকল্পনা করেছে। আবারও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। সবকিছু খতিয়ে দেখলেই আসল রহস্য পরিষ্কার হবে।’