ফাঁসিদেওয়া: লাল গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রোমা রেশমি এক্কা। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, ওই পদে থেকে নীলবাতি লাগানো গাড়ি তিনি কি আদৌ ব্যবহার করতে পারেন।
মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির পদে থেকে নীলবাতির সুবিধা ভোগ করা যায় কি না, তা কিন্তু রোমা থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, কারও জানা নেই। তবে যাতে কোনওভাবেই কোনওরকম বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে না হয়, সেজন্য সাবধানি মন্তব্য করেছেন সকলেই।
রোমার সাফাই অবশ্য আলাদা করে উল্লেখ করার মতো। গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহার করা নিয়ে তিনি প্রথমেই জানিয়ে দেন যে, নিয়মিত ওই সুবিধা উপভোগ করেন না তিনি। তাহলে আলো লাগানো ছিল কেন?
রোমার জবাব, বুধবার পর্যন্তও গাড়িতে নীলবাতিছিল না। বৃহস্পতিবার গাড়ির চালক নীলবাতি লাগিয়ে দেখছিলেন কেমন লাগে। তবে নীলবাতি লাগানো থাকলে কাজের সুবিধা হবে বলে মনে করেন রোমা।
তাঁর যুক্তি, প্রশাসনিক কাজে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। রাস্তায় যানজট থাকার কারণে মিটিংয়ে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। গাড়িতে লাগানো বোর্ড অনেক সময়ই চোখে পড়ে না, ফলে রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই নীলবাতি লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০০ বছর পিছিয়ে রয়েছে নেপাল সীমান্তের এই গ্রাম! স্বীকার কর্মাধ্যক্ষের
সরকারি নিয়ম অবশ্য বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ যাঁরা করেন, সেসব উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের গাড়ি এবং আপৎকালীন পরিষেবা দেওয়া হয় যেসব গাড়িতে, সেখানে নীলবাতি ব্যবহার করা যাবে। দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক প্রীতি গোয়েল বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
বিরোধীরা যখন বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে, তখন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলছেন, ওই পদে থেকে গাড়িতে নীলবাতি লাগানো যায় কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে তাঁর সাফাই, এতদিন সহকারী সভাধিপতির গাড়িতে কোনও নীলবাতি আমার চোখে পড়েনি।
আর রোমা অবশ্য দাবি করেছেন যে তিনি যা করেছেন, প্রশাসনকে জানিয়েই করেছেন। সহকারী সভাধিপতি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে একা একা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। জেলা এবং প্রশাসনিক মহলে খোঁজখবর নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও খবর জানতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।