বালুরঘাট: দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বালুরঘাট ডিপোর ফোন নম্বর। বাস অনুসন্ধানের জন্য যাত্রীরা বহুবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে হয়রান হতে হচ্ছে যাত্রীদের। টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই সেই নম্বর কার্যকর অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়েছেন ডিপো ইনচার্জ।
অযথা রাস্তার মাঝে যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যায় না বাস। দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাওয়া যায়। তাই বর্তমানে সকলেরই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এনবিএসটিসির বাস জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদিও এক দশক আগে বাস পরিষেবা কার্যত ধুঁকছিল। বাম আমলের শেষের দিকে নিভু নিভু অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল এই সরকারি বাস সংস্থা। তারপরে তৃণমূল সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতার আসার পরেই বাস পরিষেবাকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ করে। পুরনো বাস সরিয়ে নতুন বাস আনা হয়েছে। এমনকি দূরপাল্লার যাত্রার জন্য বাতানুকুলিন বাস পরিষেবা দিয়েছে এই সংস্থা। কিন্তু বর্তমানে বালুরঘাটবাসী বাসের খোঁজখবর নিতে নাজেহাল হচ্ছেন। শিলিগুড়ি হোক বা কলকাতা যাওয়ার জন্য বাসের খোঁজ পেতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে বাসের সময়সূচী জানতে ডিপোতে এসে ভিড় করছেন। আবার মাঝে মধ্যে বিভিন্ন কারণে বাসের একাধিক রুটের সময় পরিবর্তন করা হয়।
পাশাপাশি, নতুন বাস রাস্তায় নামালেও যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। যদিও ডিপো কর্তৃপক্ষের তরফে ভেতরে সময়সূচির তালিকা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই ডিপোতে গিয়ে সেই তালিকা দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তারা পড়েছেন মহাবিপদে। যেখানে সরকারি বাস পরিষেবাকে উন্নততর করার ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেখানে দীর্ঘদিন ফোন বিকল থাকার বিষয়টি হতাশ করছে যাত্রীদের।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বালুরঘাট ডিপো ইনচার্জ অশোক চক্রবর্তী জানান, ‘বাসের অনুসন্ধানের ফোন নম্বরটা অচল হয়ে থাকার বিষয়টি নজরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা টেলিফোন এক্সচেঞ্জে এই নিয়ে অভিযোগ জমা করেছি। কিন্তু এখনও ঠিক হয়নি। আমি টেলিফোন দপ্তরে গিয়ে কথা বলব। এই নম্বরটি আমাদেরও কাজের ক্ষেত্রে ভীষণ দরকার। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’