উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালুর দিনই দিনের আলোয় বন্দে ভারতে কলকাতা যাওয়ার দাবি উঠল। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর এনজেপি থেকে পাটনার উদ্দেশে গড়ায় বন্দে ভারতের চাকা। যা নিয়ে উপস্থিত জনতার একাংশের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন লক্ষ করা গিয়েছে, তেমনই অনেকেই কলকাতা যাওয়ার জন্য নতুন বন্দে ভারতের আব্দার করেছেন। যা পৌঁছেছে রেলকর্তাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের কানেও। খুব শীঘ্রই এই দাবি পূরণ হবে বলে আশ্বাসও মিলেছে তাঁদের তরফে।
রেল সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জংশনে পিট লাইনের কাজ শেষ হলেই আরও একটি বন্দে ভারত পাবে উত্তরবঙ্গ। যার জন্য পিট লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলমন্ত্রক থেকে। এদিনই পিট লাইনের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার স্লিপার বন্দে ভারত (Vande Bharat Sleeper Train) মিলতে পারে বলে রেলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতমের বক্তব্য, ‘কয়েক মাসের মধ্যে পিট লাইনের কাজ শেষ করে দেওয়া হবে। ওই কাজ শেষ হলে দূরপাল্লার নতুন ট্রেন পাওয়া যাবে বলে আশা করি।’ ভবিষ্যতে স্লিপার বন্দে ভারত চলবে বলে এদিন আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়।
হাওড়া এবং গুয়াহাটির পর এনজেপি থেকে যাত্রা শুরু হল পাটনাগামী বন্দে ভারতের। বৃহস্পতিবার ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে। এদিন আহমেদাবাদ থেকে ১০টি বন্দে ভারতকে সবুজ পতাকা দেখান প্রধানমন্ত্রী। এনজেপি-পাটনার মতো এদিন পাটনা-লখনউ, দিল্লি-খাজুরাহ, মাইসুরু-চেন্নাই রুটের মতো ১০টি বন্দে ভারত চালু হয়। পাশাপাশি, একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। সবমিলিয়ে প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
এনজেপিতে উপস্থিত ছিলেন কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার, জলপাইগুড়ির সাংসদ, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। অনুষ্ঠানের ভিড়ের মধ্যেই দেশবন্ধুপাড়ার যুগল দে বললেন, ‘রাতে হাওড়ায় পৌঁছানোর পর কেমন দুর্ভোগে পড়তে হয়, ভুক্তভোগীরা জানেন। যত দেরিতে পৌঁছায় বন্দে ভারত, ততই ট্যাক্সি ভাড়ার দর ওঠে। এনজেপি থেকে সকালে বন্দে ভারত চালু হলে এমন দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’ একই মত লেকটাউনের জ্যোতির্ময় পাল, সুভাষপল্লির হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের মতো অনেকেরই।
এদিকে, আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে নতুন পিট লাইন উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জন বারলা, আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম, ডিসিএম অঙ্কিত গুপ্ত। রাজাভাতখাওয়া স্টেশন এলাকায় কোচ রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা। অন্যদিকে, নাগরাকাটা স্টেশনে চালু হয় ‘ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট’-এর স্টল। উপস্থিত ছিলেন নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা, প্রাক্তন বিধায়ক শুক্রা মুন্ডা প্রমুখ। নাগরাকাটার পাশাপাশি মাদারিহাট ও নিউ কোচবিহার স্টেশনেও চালু হয় ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট-এর স্টল।