চ্যাংরাবান্ধা: ভাঙন সমস্যার কথা এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক স্তরে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসী। পাশাপাশি, ভাঙন মোকাবিলায় পদক্ষেপ করার দাবিতে ব্লক প্রশাসনের দপ্তরের বাইরে ধর্নায় বসে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিলেন তাঁরা।
মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫৭ জামালদহ চিতিয়ারডাঙ্গা এলাকার ঘটনা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সুটুঙ্গা নালার ভাঙন নিয়ে তাঁরা দারুণ চিন্তায় রয়েছেন। নালাটি সারা বছর ধরেই ভেঙে চলেছে। সেটি এখন নদীর চেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনে নালা ভেঙে অনেকটাই বসতি এলাকার দিকে ঢুকে গিয়েছে। এতে নতুন করে বেশ কিছু কৃষকের চা বাগান, চাষের জমি বিলীন হয়ে গিয়েছে। বিপন্ন হওয়ার মুখে কয়েকটি বাড়িও। এ নিয়ে তাদের অনেকেরই রাতের ঘুম উধাও হয়ে গিয়েছে। সমস্যা মেটানোর দাবিতে তাই রবিবার বাধ্য হয়েই গ্রামের মানুষ এলাকায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এই দাবিতে এদিন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা তথা চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বপ্না রায় বর্মনের দারস্থ হয়েও ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। স্বপ্নাদেবী বলেন, ‘ভাঙন নিয়ে এই এলাকার মানুষ সত্যিই দারুণ চিন্তায় রয়েছেন। ভাঙন আটকাতে গভীর নালার দু’পাশে গার্ডওয়াল চাইছেন তাঁরা। কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের মনে। এদিনও এনিয়ে অনেকে আমার কাছে এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমিও ফের উচ্চমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’