মিঠুন ভট্টাচার্য, শিলিগুড়িঃ সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে শুরু হয় অতিস্পর্শকাতর বুথ জুম্মাগছে পুনঃনির্বাচন। যদিও ঘরছাড়া পরিবার গুলির সবাই এখনও ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্য এলাকায় আত্মগোপনে থাকা বেশ কিছু ঘরছাড়া মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। বাকিরাও এলাকায় যাওয়ার তোড়জোড় করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘরছাড়াদের মধ্যে কতজন এলাকায় গিয়ে ভোট দিতে পারবেন এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জোটের প্রার্থী মেহে আঞ্জু আলম।
রবিবার রাতেই জুম্মাগছে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের ভোট দিতে যাওয়ার আবেদন জানান। এ প্রসঙ্গে এলাকার বেশ কিছু মানুষ বলেন, শুরু থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে এলাকায় এরকম ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস হতো না। যদিও ইতিমধ্যেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে ভোটগ্রহন কেন্দ্রে। স্থানীয় এক বাসিন্দা শাশুড়ির হয়ে নিজেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, ‘শাশুড়ি অসুস্থ, তাই আমি ভোট টি দিয়ে দিয়েছি’। এছাড়াও এদিন নির্ধারিত সময়ের বেশি কিছুক্ষণ পরে সকাল ন’টা নাগাদ শুরু হয় এই কেন্দ্রে ভোটদান প্রক্রিয়া। তৃণমূলের তরফেও শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার অশান্তি – গন্ডগোলের জেরে বন্ধ হয়ে যায় জুম্মাগছে ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত ছিল সীমান্তবর্তী গ্রাম জুম্মাগছ। বেশ কয়েকবার তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধর ও এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ করে। জোটের পক্ষ থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সেরাফত হোসেন বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে আজকেও গন্ডগোল হত। আপাতত বাহিনী আছে বলেই এলাকায় সমস্যা নেই। বাহিনী সরলেই ফের গন্ডগোল চালু হবে।” এই আশঙ্কাই করছেন স্থানীয়রা।