ওদলাবাড়ি: দেদার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। যার জেরে ভোটের দিন একদল উত্তেজিত জনতা ওদলাবাড়ি হিন্দি হাইস্কুলের ৪৭/১ ভোটকেন্দ্রের ভেতর ঢুকে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে বাইরে ফেলে দিয়েছিলেন। এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বেষ্টিত কঠোর নজরদারিতে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হল। যদিও এদিনও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে।
প্রথমত, সকাল ৭টায় পুনরায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এদিন এই কেন্দ্রের ২০/৪৯ নম্বর আসনে ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হয় সকাল ৮টার পর। দ্বিতীয়ত, পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও এই আসনের বাকি চার প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের বুথে দেখা যায়নি। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী ফতেবুল ইসলাম, নির্দল প্রার্থী মহম্মদ সাবলু, জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী আজাদ সরকার এবং বিজেপির বুধন রায়কেও দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বাকি চার প্রার্থীর তরফে মহম্মদ সাবলু বলেন, ‘গত ৮ তারিখ ভোটগ্রহণ চলাকালীন তৃণমূলের একদল সমর্থক বেলা ১১টা নাগাদ ২০/৪৯-৫০ নম্বর আসনের দুটো বুথের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেদারে ছাপ্পা ভোট দিয়েছিল। ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০/৪৯-৫০ নম্বর আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ১৭০০-র বেশি। আমরা সকলেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর পর এদিন ৪৭/১ নম্বর বুথে শুধুমাত্র ২০/৪৯ নম্বর ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ১ হাজার জনের সামান্য বেশি ভোটারদের জন্য পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হয়। এই আসনের অপর বুথ ২০/৫০-এ কোনও ভোটগ্রহণ করা হয়নি। অথচ এই বুথেও প্রায় ৬৭০ জন ভোটার রয়েছেন। সবমিলিয়ে কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিবাদেই এদিন আমরা কেউই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করিনি।‘
বিরোধীদের পুনরায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বয়কট করার মাঝেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাশেই ক্যাম্প করে রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।