উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: স্ট্রেসের কবলে আমরা সবাই কম-বেশি বিপর্যস্ত। স্ট্রেস কেন হয়, তার হাজারও কারণ আছে। এক একজন মানুষ এক একরকম হন, তাঁরা পরিস্থিতির মোকাবিলাও করেন ভিন্নভাবে। তবে এমন কতগুলো রাস্তা আছে, যা মেনে চললে নিশ্চিতভাবেই জীবন অনেক সহনীয় হয়ে উঠবে। জানতে চান সেগুলি কী?
নিজেকে গুরুত্ব দিন: বিশেষ করে মেয়েরা সংসার, কাজকর্ম, বন্ধুবান্ধব — সব দিকের চাপ সামলাতে গিয়ে জেরবার হয়ে পড়েন এবং নিজের যত্ন নেওয়ার সময় পান না মোটেই। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, খুশি থাকতে গেলে, বিশেষ করে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হলে নিজেকে অবহেলা করলে হবে না। আগে আপনি ঠিক থাকুন, বাকিটা ঠিকমতো হতে বাধ্য! রোজ খানিকক্ষণ সময় নিজেকে দিন, সেটা সকালে বা দিনের শেষে যখনই হোক না কেন! নিজের পছন্দের চা বা কফির কাপ হাতে নিয়ে খানিক সময় কাটান একলা। মাসে এক-আধবার পার্লারে যান ম্যাসাজ করাতে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করুন। পছন্দের খাবার রান্না করলেও কিন্তু স্ট্রেস কমে!
এমন কিছু একটা করুন যা আপনাকে মুক্তির স্বাদ দেয়: কেউ হয়তো ব্যায়াম করলে বিশেষ আনন্দ পান, কারও আবার ভালো নাটক বা সিনেমা দেখলে সেই অনুভূতিটা হয়। যাই হোক না কেন, নিজের পছন্দের কোনও একটা বিষয় খুঁজে বের করুন। ড্রয়িং খাতায় স্কেচ করলে বা মিউজ়িক শুনলেও এই আনন্দটা পেতে পারেন। কোনও হবি থাকলে তার চর্চাও করতে পারেন। আজকাল খুব সহজেই মিউজ়িকাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে শেখা যায় ফোন দেখেই — তেমন কিছুই ট্রাই করে দেখতে পারেন।
প্রকৃতির মাঝে খানিক সময় কাটান: যাঁরা রোজ সকালে বাড়ির কাছাকাছি কোথাও হাঁটতে যান, তাঁরা এ বিষয়টা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন? গাছ, ফুল, পাখির ডাক, শীতল বাতাস সত্যিই মন ভালো করে দেয়। রোজ সম্ভব না হলেও অন্তত সপ্তাহান্তে এই রুটিনটা ট্রাই করে দেখতে পারেন, দারুণ ভালো লাগবে!
ধ্যান করুন: স্ট্রেস কমাতে যে মেডিটেশনের কোনও বিকল্প নেই, সে বিষয়টি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। তাই রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিরালা একটি কোণে দশটা মিনিট চোখ বন্ধ করে, পিঠ সোজা করে বসে কাটান। হালকা কোনও মিউজ়িক শুনতে পারেন এই সময়ে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ শ্বাস নিন। যত বেশি অক্সিজেন ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছবে, তত ভালো থাকবেন।