চ্যাংরাবান্ধা: পাঁচ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে যখন বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতায় নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে, তখন পরিবেশের অন্যতম উপাদান জলের অবাধ অপচয় চলছে চ্যাংরাবান্ধায়। বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব তীব্র জল সংকটের সন্মুখীন। সেখানে চ্যাংরাবান্ধায় পরিস্রুত পানীয় জলের অবাধ অপচয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় জনগণের মধ্যে।
চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে চ্যাংরাবান্ধা জুনিয়র গার্লস স্কুল চত্বরে বসানো হয় সৌরবিদ্যুৎ চালিত পরিশ্রুত পানীয় জলের জলাধার। ২০০০ লিটার জলধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট এই জলাধারে জলের অভাব হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাবেই ভর্তি হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে চ্যাংরাবান্ধা স্টেশন পাড়া ও বাজার সংলগ্ন এলাকায় মানুষের বিশেষ উপকৃত হয়েছিলেন। এই জুনিয়র গার্লস স্কুলটি শিক্ষিকার অভাবে দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকলেও স্কুল চত্বরে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্প ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের লোকজন এই জল পানীয় হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু জলাধারটি চালু হওয়ার পর থেকে লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় জল নেওয়ার পরেও প্রায় সব সময় এই জলাধার থেকে জল পড়েই চলেছে। এভাবে পানীয় জলের ক্রমাগত অপচয়ে এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। জল অপচয় বন্ধের দাবিতে স্থানীয়রা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এবিষয়ে চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইলিয়াস রহমান বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।