ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি: জল নিয়ে হাহাকারের শেষ নেই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ‘টক টু মেয়র’-এ অভিযোগ পেয়ে সেখানে বাস্তুকারদেরও পাঠিয়েছিলেন গৌতম দেব। কিন্তু সমস্যা আসলে কোথায়, তা ধরাই যায়নি। অগত্যা বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে চরচরিয়ে।তাই বেগতিক বুঝে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন মেয়র।
গৌতম বলছেন, ‘৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু কারিগরি সমস্যার জন্য কিছুদিন ধরে জল মিলছে না। জল সরবরাহ বিভাগের বাস্তুকারদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি। তবে কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা দ্রুত খুঁজে বের করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। জলসমস্যার জন্য মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে তার জন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
এলাকাটি গৌতম দেবের নিজের নির্বাচনি ওয়ার্ড। ফলে খোদ মেয়রের ওয়ার্ডে জল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই ওয়ার্ডে পানীয় জল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি বহুবার পুরনিগমকে জানানো হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। পুরনিগমের তরফে অবশ্য কয়েকদিন ধরে পানীয় জলের ট্যাংক ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এপিসি সরণির বাসিন্দা লক্ষ্মীরানি পালের অভিযোগ, ‘অনেকদিন ধরে আমাদের এখানে জল আসে না। আমরা বাধ্য হয়ে জল কিনে খাচ্ছি।’
বঙ্কিম সরণির বাসিন্দা অনির্বাণ পাল বলছেন, ‘আমি নিজে টক টু মেয়রে বিষয়টি তোলার পর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বহুবার পুরনিগম ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মীরা এসে ঘুরে গেলেও তাঁরা কিছুতেই সমস্যার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রায় ১২-১৩ দিন ধরে জল না আসায় আমরা কঠিন সমস্যায় পড়েছি।’
এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে কবে, সেটাই এখন প্রশ্ন গৌতমের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। ফলে আপাতত চিঁড়ে ভিজছে না গৌতমের ক্ষমাপ্রার্থনায়।