কলকাতা: রাজ্যে র্যাশন দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়। পশ্চিমবঙ্গের র্যাশন দুর্নীতির সঙ্গে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ পেল তদন্তকারী সংস্থা। পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলার মূল অভিযুক্তদের নাম জড়াল র্যাশন দুর্নীতিকাণ্ডেও, এমনই দাবি ইডি’র। সম্প্রতি, ডোমজুড়ের এক প্যাকেজিং সংস্থায় একটানা প্রায় দু’দিন ধরে ইডি অভিযানের পর সামনে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। ওই প্যাকেজিং সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম জড়িয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে। রাজসাক্ষী হয়ে মুক্তির পরই কী র্যাশন দুর্নীতিতে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের?।
গত শনিবার সকাল থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এজেসি বোস রোডে একটি অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি একই ডিরেক্টরদের হাওড়ার ডোমজুড়ে প্যাকেজিং সংস্থাতেও হানা দেয় ইডি। ওই প্যাকেজিং সংস্থার মাধ্যমে এফসিআইয়ের পাঠানো চাল, গমে নিজেদের লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করা হত বলে অভিযোগ। ওই প্যাকেজিং সংস্থার ডিরেক্টর ব্যবসায়ী হিতেশ চন্দক এবং দীপেশ চন্দক। ১৯৯৬ সালে দু’জনেরই নাম জড়ায় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায়। সিবিআইয়ের নজরে চলে আসেন তাঁরা। মামলার রাজসাক্ষী হন দু’জন। জানা গিয়েছে, লালুপ্রসাদ যাদবকে ৬০ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান ওই দুই ব্যবসায়ী। এরপর ওই মামলা থেকে রেহাই পান তারা। প্রায় ২৭ বছর পর এবার বাংলার র্যাশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়াল এই দুই ব্যবসায়ীর। ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে তাদের ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল বলে খবর। তবে কীভাবে তারা এই মামলায়ও জড়িয়ে পড়েন, তা নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে ইডি।