প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অষ্টাদশ জি-২০ সম্মেলন৷ বিশ্বের প্রধান এবং উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি সম্পন্ন দেশ সমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা তথা আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ইত্যাদি ছিল জি-২০ গঠনের উদ্দেশ্য। চলতি বছরে শেষার্ধে জি২০-র সম্মানীয় সভাপতিত্ব করবার সুযোগ পেয়েছে ভারত৷ মোদী সরকারের নেতৃত্বাধীন এই শীর্ষ সম্মেলনে দিল্লির বুকে চাঁদের হাট বসা নিয়ে যখন শুরু হয়েছে জল্পনা, ঠিক সে মুহূর্তে সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়া, অপ্রাপ্তি, বঞ্চনা, ক্ষোভ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উই-২০ সামিট। আগামী শুক্র শনি রবি, অর্থাৎ ১৮-১৯-২০ আগস্ট দিল্লির বুকে হরকিষেণ সিং সুরজিত ভবনে অনুষ্ঠিত হবে তিনদিন ব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলন যেখানে দেশের আম জনতার দাবিদাওয়া কেন্দ্রীক এই চিন্তন শিবির -‘উই-২০’ সামিটে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিস্তা সেতালবাদ, মেধা পটেকর, বৃন্দা কারাত, অধ্যাপিকা জয়তী ঘোষ, আরজেডি’র সাংসদ মনোজ ঝাঁ, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এবং সাংসদ জয়রাম রমেশ, রাজীব গৌড়া, হর্ষমন্দর, বন্দনা শিবার মতো রাজনৈতিক তথা প্রথিতযশা সমাজসেবীরা।
উল্লেখ্য জি-২০ এর অনুকরণে অনুষ্ঠিত ‘উই ২০ সামিটে’র মূল লক্ষ্য হল মোদী সরকার এবং তার শাসনকালে দেশের সার্বিক দুরাবস্থা, তৎসহ সমাজের বিভিন্নস্তরে প্রভূত নীতিপঙ্গুতার দৃষ্টান্ত উত্থাপিত করে তা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করা। মূলত: জি২০’র আলোচ্যসূচি এবং এজেন্ডায় বর্ণিত নানাবিধ সামাজিক ন্যায় অবক্ষয় এবং প্রতিকূলতা, বিশেষ করে শিল্প ও বিনিয়োগ, কৃষি সমস্যা, বাণিজ্য সহ ডিজিটাল ভারত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সমাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার মৌনতা ধারণ করেছে, সে সব নিয়েই জি২০-র আঙ্গিকে সরব হবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসা জন নেতৃত্বের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট সামিটে প্রতিদিন তিনটি অর্থাৎ মোট ৯ টি বিষয় নিয়ে আলোচনার টেবিলে ঝড় তুলবেন বক্তারা, যার মধ্যে বিশ্ব ও বাজার অর্থনীতি, ব্যাঙ্কিং সংস্কার, ডিজিটাল ডেটা সার্ভিলেন্স এবং প্রোটেকশন, বিচারব্যবস্থা এবং সর্বোপরি তথ্যের অধিকার ও সংরক্ষণের ইস্যুতেও সরব হবেন ‘উই ২০’ সামিটের বক্তারা৷ রবিবার বিকেলে বিচিত্রানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘উই ২০’ সামিটের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে, নেপথ্যে রয়েছে দেশের প্রথমসারির অসংখ্য সমাজসেবী সংগঠনের প্রায় শতাধিক সমর্থকেরা, দেশের নানা প্রান্ত থেকে যারা ছুটে আসছেন নয়াদিল্লির বুকে এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হয়ে থাকতে।