বর্ধমান: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই কঠিন লড়াইয়ের পণ করেছিল বামেরা। আর তাতেই পূর্ব বর্ধমানের রায়নার পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতে বাজিমাত করল সিপিএম। মঙ্গলবার ভোট গণনা (West Bengal Panchayat Election 2023 Result) য় পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টি অসনে জয়ী হয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে চলেছে সিপিএম। ৮টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
বাম আমলে সিপিএমের দুর্গ হিসাবেই পরিচিত ছিল রায়না। তৃণমূল কংগ্রেস দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিপিএম ও তৃণমূলে সংঘর্ষ এবং প্রাণহাণির ঘটনা নিয়ে নিত্যদিন খবরের শিরোনামে থাকত রায়নার নাম। ২০১১ সালে রাজ্য রাজনীতিতে পালা বদলের পর থেকে ধীরে ধীরে রায়নায় ঘাসফুলের বাড়বাড়ন্ত ঘটতে শুরু করে। রায়না ১ ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি সিপিএমের হাতছাড়া হয়। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছাড়েননি সিপিএমের নেতা ও কর্মীরা।
সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মির্জা আকতার আলি বলেন, ‘চুরি ও দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বাম প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য আমরা রায়নাবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলাম। রায়নার মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন। আমরা পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের মতো সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছি।’ পাশাপাশি তিনি জানান, আরও একাধিক পঞ্চায়েতেও তাঁরা বোর্ড গঠনের মতো সংখ্যা গরিষ্ঠতা পোতে পারতেন। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে তাঁদের প্রার্থীদের তরফে ভোট পড়া ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। ৫ থেকে ১০ ভোটের ব্যবধানে সিপিএম প্রার্থীরা হেরে গিয়েছেন। গণনাকেন্দ্রে পুলিশ-প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করেনি বলেও আকতার আলি অভিযোগ করেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘গোটা রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের জয়জয়কার। রায়নার একটা গ্রাম পঞ্চায়েত পেয়ে সিপিএমের এত উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। তবে পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হারের কারণ নিয়ে দলীয় স্তরে পর্যালোচনা হবে।’