উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ় (পিসিওডি)। এই দু’টি ক্ষেত্রেই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। আর প্রতি পাঁচজন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন করে এই সমস্যায় ভোগেন।
পিসিওডি ও পিসিওএস কী?
একটা সময়ের পর থেকে প্রত্যেক মেয়ের শরীরের দু’টি ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে ডিম বেরোতে থাকে। পিসিওডির ক্ষেত্রে ওভারি সাধারণত অপরিণত বা আংশিক পরিণত ডিমে ভরে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে তা জমে জমে সিস্টে পরিণত হয়। এর ফলে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়, পেটে চর্বি জমে ও ওজন বাড়ে, বন্ধ্যাত্ব এবং চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত অতিরিক্ত ভাজাভুজি ও মশলাদার খাবার খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, মানসিক চাপ এবং হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে পিসিওডি হয়।
আবার পিসিওএস আলাদা। এটি মূলত মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। এই সমস্যা হলে পুরুষালি হরমোনের আধিক্যের কারণে শরীর ও মুখে অবাঞ্ছিত রোমের প্রবণতা বাড়ে। ব্রণ, অ্যাকনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। চুল ঝরে যায়, ওজনও বাড়ে। এ ছাড়াও আছে প্রজননের সমস্যা এবং ভবিষ্যতে উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।
এই সমস্যা হলে কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? আর কী কী নিয়ম মেনে চলবেন, তা জেনে নিন…
১. ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। তার বদলে ফাইবারযুক্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং পরিমিত প্রোটিন খেতে হবে। সাধারণ ভাত-রুটির বদলে ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড খেতে হবে। অলিভ, ক্যানোলা, পিনাট বা আমন্ড অয়েলে রান্না করা যেতে পারে। যদি একান্তই সেটা সম্ভব না হয় তবে রান্নায় ব্যবহৃত তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। সবুজ শাক সবজি বেশি করে খেতে হবে। তবে ফলের মধ্যে আম, কলা, আতা, আঁখ, কাঁঠাল বাদ দেওয়াই শ্রেয়। ডিম খেলে কুসুম বাদ দিয়ে খাবেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত মাছ একেবারেই নয়।
২. পিসিওডির সমস্যা থাকলে খুব বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে বিপাকহার কমে যায়, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক আরও বাড়ে।
৩. ব্যায়াম, শারীরিক কসরতের মাধ্যমে যতটা সম্ভব সচল থাকতে হবে। তা যেকোনও রোগ মোকাবিলায় সহায়তা করে। ওজন যত কমবে, পেটের মেদ যত ঝরবে, ততই সুস্থ থাকবে শরীর।