উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সিলেবাসে আগেই ঢোকানো হয়েছিল সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। এবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও সিঙ্গুর নিয়ে প্রশ্ন। সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী মল্লিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছে সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সর্ষে বীজ ছড়িয়েছিলেন কে? স্বাভাবিক ভাবেই এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অষ্টম শ্রেণির একটি পাঠ্যবইয়ের নাম ‘অতীত ও ঐতিহ্য।’ ওই বইয়ের একটি অধ্যায় হল, ‘কৃষি জমির অধিকার, সিঙ্গুর গণ আন্দোলন।’ সেখানে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা গাড়ির কারখানাকে কেন্দ্র করে জমি অধিগ্রহণ, কৃষকদের আন্দোলন থেকে জমি ফেরত দেওয়ার পর্ব-সহ আন্দোলনের নানা বিষয় ঢোকানো হয়েছে। নিছক রাজনৈতিক দলের একটি আন্দোলনকে কেন ইতিহাস বইয়ের পাতায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন আগেই উঠেছে। চর্চা হয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়েও।
২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে সিঙ্গুরে কারখানা করার জন্য যে ভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তাতে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ছিল। সেই জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই জমিই হস্তান্তরের সময় প্রতীকিভাবে ২০১৬ সালেরই ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ষে বীজ ছড়িয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গটিই প্রশ্ন হিসেবে রাখা হয়েছে। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস জানিয়েছেন ‘‘ভুল ইতিহাস শিখিয়ে পড়ুয়াদের পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। জ্যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা দাসদাসীতে পরিণত হয়েছেন। শাসকদল যা বলবেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা তা করতে বাধ্য থাকবেন।’ পাল্টা সিঙ্গুর ব্লক তৃনমুল কংগ্ৰেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া বলেন, “সিঙ্গুরের জমি ফেরত পাওয়ার পর ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম টাটার মাঠে সর্ষে ছড়িয়েছিলেন। এটা পাঠ্য পুস্তকের সিলেবাসে আছে এবং তা থেকেই প্রশ্ন হয়েছে।’ তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ। ভবিষ্যতে প্রশ্ন নির্বাচন নিয়ে সতর্ক থাকতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।