উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রায় তিন বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছে নকশালবাড়ি ব্লকের সেবদুল্লা গ্রামের কয়েকটি পরিবার। জলের সমস্যা মেটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের এজলাসে শুনানির সময় বেশ কিছু মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনার কথা কানে যেতেই নকশালবাড়ির সেবদুল্লা গ্রামের জলকষ্ট মেটাতে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে জলকষ্ট। তাঁরা পিএইচই দপ্তরে আবেদন করায় গ্রামে জলের কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। জল সমস্যা মিটে যায়। বাড়ি বাড়ি জলের কানেকশন দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টাও শুরু হয়। কিন্তু তার পর আবার সমস্যা শুরু হয়। বহু আবেদন এবং নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় কিছু পরিবার।
সোমবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ওই মামলার শুনানিতে অভিযোগকারীদের এজলাসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সেবদুল্লা গ্রামের পানীয় জলের সমস্যার কথা জানতে পারেন। তিনি জানান, “সরকার এবং প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সমস্যা সমাধানে কিছু সময় লাগবে। এই মুহূর্তে আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। আমি ক্রসচেক করেছি। ওঁরা ঠিকঠাক ভাবেই পানীয় জল পাবেন। পিএইচই কাজ করছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যত দিন না পাইপ লাইন সংস্কারের কাজ শেষ হচ্ছে, তত দিনের জন্য ওই গ্রামবাসীদের পুরসভা থেকে পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পাশে দাঁড়ানো গৌতম দেবকে দেখিয়ে বলেন, ‘‘আমি শিলিগুড়ির মেয়রকে বলেছি, যত দিন না সমস্যা না, তত দিন পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠান ওই গ্রামে। যাতে স্থানীয়রা অসুবিধায় না ভোগেন দেখতে হবে।’’