উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের(Sheikh Shahjahan) বাড়িতে ইডি হানা না দিলে হয়তো রাজ্যবাসীর কাছে অজানাই থেকে যেত এই দাপুটে তৃণমূল নেতার নাম। আধিকারিকরা বাড়ির দরজায় কড়া নাড়তেই এই দাপুটে নেতার অঙ্গুলী হেলনে শয়ে শয়ে লোক ইডি(ED) আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। জখম হন একাধিক আধিকারিক। এলাকা থেকে কার্যত পালিয়ে আসতে হয় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের। তখনই রাজ্যবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যেমন তেমন লোক নয় এই শেখ শাহজাহান। তার প্রভাব যে কতটা তা বোঝা যায় ৫৫ দিন ধরে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায়। পরে অবশ্য আদালতের নির্দেশের পর বসিরহাটের মিনাখাঁ থেকে শেখ শাজাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কে এই শেখ শাজাহান? জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের পাশাপাশি সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল(Trinomool) সভাপতি শেখ শাহজাহান। এই মুহূর্তে ইডির হেপাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। শেখ শাহজাহানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু বাম জমানার শেষের দিকে একটা সময় সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটে ট্রেকারে হেলপারের কাজ করতেন শাহজাহান। পরে মামার সঙ্গে মিলে মাছের ভেড়ি চালাতেন। তবে বাম জমানায় খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি তিনি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে তৃণমূলের ঘনিষ্ট হয়ে পড়েন। তখন থেকেই এলাকায় রাজত্ব শুরু হয় শেখ শাহজাহানের। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে বসিরহাট থেকে জেতাতে সংখ্যালঘু ভোট একত্র করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শেখ শাহজাহান। তার পুরস্কার হিসেবেই শাহজাহানকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কর্মাধ্যক্ষের পদ দেওয়া হয় তাকে। তবে ইডির দাবি, র্যাশন দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে শেখ শাহজাহানের। সেই জন্যই শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল তারা। আর সেই তল্লাশির জেরেই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।