উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি।মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় সোনিয়া গান্ধি বলেন, ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল আমাদের।’ তাঁর এই বক্তব্যের পেছনে রয়েছে ২০১০ সালে কংগ্রেসের রাজত্বকালে রাজ্যসভায় পেশ করা মহিলা সংরক্ষণ বিল।সেই রেশ ধরেই সোনিয়ার এই মন্তব্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
১৮ সেপ্টেম্বর মহিলা সংরক্ষণ বিলের অনুমোদন করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়।মহিলাদের জন্য পার্লামেন্ট এবং বিধানসভায় এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করা থাকবে এই নয়া বিল অনুযায়ী। তবে ২০০৮ সালে মহিলাদের জন্য যে বিল এনে ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাশ করা হয়েছিল, সেই বিল অনুযায়ী লোকসভা ও বিধানসভায় সংরক্ষণ থাকবে মহিলাদের জন্য। তবে মোদি জমানায় যে নতুন বিলটা আসছে সেটা মূলত রাজ্যসভা ও বিধান পরিষদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে। মনে করা হচ্ছে এই নয়া বিলে একাধিক নতুন বিষয়কে যুক্ত করা হচ্ছে।
এই বিল প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে এবার প্রধানমন্ত্রীর উচিত সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলকে পাশ করানো। কংগ্রেস নিঃশর্তে সমর্থন করবে।পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘রাজীব গান্ধি প্রথম এই বিল উল্লেখ করেছিলেন। পঞ্চায়েত ও পুরসভায় এক তৃতীয়াংশ মহিলা সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন। সালটা ছিল ১৯৮৯। কিন্তু বিল সেই সময় রাজ্যসভায় পাশ হয়নি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও এই মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের বিল পাশ করেছিলেন। পঞ্চায়েত ও পুরসভার ক্ষেত্রে এটা বলা হয়েছিল। সাল ছিল ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাস। দুটো বিলই পাশ করা হয়েছিল। সেটা আইনে পরিণত হয়। এখন পঞ্চায়েত, পুরসভায় ১৫ লাখ মহিলা প্রতিনিধি রয়েছেন। প্রায় ৪০ শতাংশ সংরক্ষণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও সংসদে ও বিধানসভায় মহিলা সংরক্ষণের জন্য বিল এনেছিলেন। ২০১০ সালের ৯ মার্চ সেটা পাশ করা হয়। রাজ্যসভায় পাশ হলেও সেটা লোকসভায় আসেনি। কিন্তু রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিল বাতিল হয়ে যায় না। সেটা এখনও কার্যকরী। আমরা ৯ বছর ধরে বলে আসছি সেই বিল লোকসভায় পাশ করা হোক।’
অন্যদিকে এবিষয়ে নিজের দলের গুণগান করে সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ৪০ শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষণ করে অনন্য নজির গড়েছেন। সুতরাং বলা যেতেই পারে, মোদির এই পদক্ষেপকে নিজেদের মত করে কৃতিত্ব নিতে চাইছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল উভয় দলই।