উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির কাজের চাপ সবার উপরেই রয়েছে। সেই সঙ্গে আবার সুস্থ থাকার জন্য ঘরে বসেই মাঝে মধ্যে শরীরচর্চা চলে। চিকিৎসকদের মতে, মানুষের শরীর নাগাড়ে দশ-বারো ঘণ্টা বসে কাটানোর জন্যে তৈরি হয়নি। তাই কাজের চাপ যতই হোক না কেন, মাঝে মাঝেই উঠুন, খানিকটা হাঁটাচলা করুন, তার পর ফিরে এসে ফের কাজে বসুন। টানা বসে টিভি দেখাও খুব খারাপ অভ্যেস। একদিনে অনেক ব্যায়াম করলেই হাড় ভালো হয়ে যাবে না, তার দীর্ঘদিনের টানা যত্ন প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় মা কতটা পুষ্টিকর খাবার খেয়েছিলেন তার উপর ভিত্তি করে মানুষের হাড়ের স্বাস্থ্য নির্ধারিত হয়। মায়ের পুষ্টিতে ঘাটতি না থাকলে বাচ্চাও সুস্থ হয়। ভালো হাড়ের গ্রোথ হওয়া সম্ভব ৩০-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত। তার মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁরা রোজ হাড়ের যত্ন নিন। পুষ্টিকর খাবার খান, তার মধ্যে যেন শাকসবজি আর ফল থাকে। নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ব্যায়াম করুন। ধূমপান আর কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যেস হাড়ের স্বাস্থ্যক্ষয়ের কারণ- পারলে এগুলি এড়িয়ে চলুন।
হাঁটুসহ শরীরের কোনও হাড়ে ব্যথা হলেই কিন্তু ব্যায়াম বন্ধ করে দিন, আগে ঠান্ডা সেঁক দিয়ে ব্যথা কমান, বিশ্রাম নিন, তার পর আবার ব্যায়াম হবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে হাড়ের যত্নের নিয়মও। বিশেষ করে ৪০ বছরের পর মেয়েদের হাড়ের স্বাস্থ্য খারাপ হতে আরম্ভ করবে, কারণ সে সময় থেকেই ইস্ট্রোজেন তৈরিতে ঘাটতি আসে। তাই সুস্থ হাড়ের জন্য একেবারে কম বয়স থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।
এখন তো কম-বেশি সবাইকেই বাড়ির নানা কাজ করতে হচ্ছে। তার মধ্যে ঘর ঝাঁট দেওয়া আর মোছার সময়েই হাড়ে ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। হাঁটু ততটাই ভাঁজ করুন যতটা আপনি সাবলীলভাবে করতে পারেন। তার বেশি ঝোঁকার বা চাপ দেওয়ার দরকার নেই। মনে রাখবেন, বেশি বয়স পর্যন্ত সুস্থ ও সাবলীল থাকতে গেলে হাড়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক আগে থেকে যত্নশীল হতেই হবে।