নয়াদিল্লি: লোকসভায় পাস হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিলের স্বপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৫৪ জন সাংসদ। উপস্থিত ২ সাংসদ বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। হায়দ্রাবাদের মিম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং আরেকজন সাংসদ এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে সংসদীয় সূত্রে। নিম্ন কক্ষের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার উচ্চ কক্ষে বিলটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় বসবেন রাজ্যসভার প্রতিনিধিরা৷ বিল পাস হলেও সারা দিন এই বিশেষ বিল নিয়ে আলোচনায় উত্তপ্ত হয়ে ছিল নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষ। দিনের শেষে, সংসদে হাজির হয়ে সেই উত্তাপের সাক্ষী ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম শীর্ষক এই বিলটি লোকভায় পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। বিলের উপর আলোচনা করেন রাহুল গান্ধী, অমিত শা, কাকলী ঘোষ দস্তিদাররে মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। মোট ৭ ঘন্টার উপর আলোচনার পর বিলটি পাশ করানো হয়। তবে এখন পাশ করা হলেও দেশজুড়ে ডিলিমিটেশনের পরই বিলটি কার্যকর হবে। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই আইন কার্যকর হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই বিল পাশ হওয়ায় লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
মঙ্গলবার এই বিল পেশের সময় বিলের উদ্দেশ্য-বিধেয় নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে লোকসভায়৷ বুধবারে তারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল যখন বিলের নেপথ্যে সরকারি মনোবাঞ্ছার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন ইন্ডিয়া জোটের মহিলা সাংসদরা৷ ইন্ডিয়া শিবিরের সদস্য মহিলা সাংসদ সনিয়া গান্ধী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কানিমোঝি বা মহুয়া মৈত্রদের প্রশ্ন, মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও সার্বিক বিকাশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকার যখন এতই চিন্তিত, তখন ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে কেন মোদী সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের উদ্যোগ নেয়নি? কেন তাদের পাক্কা দশটি বছর সময় লাগলো দেশের গণতন্ত্রের পীঠস্থানে এই বিল পেশ করতে? একইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের প্রশ্ন, ২০২৩ সালে বিল পাসের পরে কেন মহিলাদের অধিকার প্রাপ্তির জন্য আরও ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে? তবে মহিলা সাংসদরা সবাই স্পষ্ট করেছেন মোদী সরকারের অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তাঁরা মহিলা স্বশক্তিকরণ ও সার্বিক ক্ষমতায়নের কথা মাথায় রেখে মোদী সরকার প্রণীত মহিলা সংরক্ষণ বিলটির পক্ষেই রায় দিচ্ছেন৷