মেটেলি: ফের মেটেলি ব্লকের নাগেশ্বরী চা বাগানে সরকারিভাবে জমির পাট্টা প্রদানের সার্ভে করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল মেটেলি থানার পুলিশ ও ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মীদের। বুধবার মেটেলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মীরা মেটেলি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নাগেশ্বরী চা বাগানে জমির পাট্টা প্রদানের জন্য সার্ভের কাজ করতে যান। অভিযোগ, নাগেশ্বরী চা বাগানের রোটি খানা লাইন এলাকায় ওই সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মী ও পুলিশকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
বাসিন্দাদের দাবি, ৫ ডেসিমেল জমির পাট্টা নয়। যার যতটুকু জমি তাকে সেই জমির স্থায়ী মালিকানা দিতে হবে। খবর পেয়ে এলাকায় যান জেলা পরিষদ সদস্যা তথা তৃণমূলের মেটেলি ব্লক সভানেত্রী স্নোমিতা কালান্দি সহ অনেকেই। তারাও জনগণের বিক্ষোভের মুখেই পড়েন। শেষে যারা পাট্টা নিতে অনিচ্ছুক তাদের বাদ দিয়ে ওই বাগানের অন্য লাইনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে সার্ভের কাজ করা হয়।
মেটেলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুভস্মিত গোস্বামী বলেন, কিছু মানুষ না বুঝেই বিরোধিতা করছে। আমরা তাদের বোঝাচ্ছি। যারা পাট্টা নিতে অনিচ্ছুক তাদের বাড়িতে আপাতত আমরা সার্ভে করছি না। বাগানের পাট্টা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বাড়িতেই এদিন সার্ভে করা হয়। যারা অনিচ্ছুক আমরা তাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে আগামীতে পাট্টা প্রদানের জন্য সার্ভে করার চেষ্টা করবো।
নাগরাকাটা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক পুনা ভেংরা বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি হল জমির পাট্টা নয়, চা বাগানের শ্রমিকদের জমির স্থায়ী মালিকানা প্রদান করতে হবে। চা বাগানে পূর্বপুরুষ থেকেই বসবাস করে আসছে চা বাগানের জনগণ। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিধানসভায় সরব হলেও সরকারপক্ষ এই বিষয়ে কোনও আলোচনা করতে রাজি হয়নি। লোকসভা ভোটের আগে চা বাগানের জনগণকে বোকা বানানোর জন্যই জোর করে পুলিশ নিয়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি এই সার্ভে করানো হচ্ছে। চা বাগানের মানুষ এই পাট্টা নিতে না চাইলেও জোর করে তাদের এই পাট্টা নিতে বাধ্য করানো হচ্ছে। এই বিষয়ে আগামীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনেও নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার ওই চা বাগানেই জমির পাট্টার সার্ভের কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় কিছু জনগণের বাধার মুখে পড়েন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মীদের। যদিও ওইদিন পরে মেটেলি থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাগানের অন্য লাইনে সার্ভের কাজ করেন কর্মীরা।