নাগরাকাটা: বোনাস নিয়ে বিক্ষোভ চলছেই ডুয়ার্সে। শনিবার ১৯ শতাংশ হারের বোনাসের দাবিতে কাজই করলেন না নাগরাকাটার ধরণিপুর চা বাগানের শ্রমিকরা। গত বৃহস্পতিবার আইটিপিএ-টিপা-র আওতাধীন বাগানগুলির বোনাস চুক্তিতে ধরণিপুরের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ ঠিক করা হয়। একথা শুনেই বেঁকে বসেছেন সেখানকার শ্রমিকরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০২০ সালে যখন বর্তমান পরিচালকরা বাগান নেন সেই সময়ের খারাপ পরিস্থিতিতেও সেখানে ২০ শতাংশ হারের বোনাস দেওয়া হয়েছিল। এবার ১২ শতাংশ কীভাবে ঠিক হল, সেই প্রশ্নে এদিন সরব হতে দেখা গিয়েছে শ্রমিকদের।
এদিকে, বোনাস ইস্যুতেই কর্মবিরতির নোটিশ জারি হওয়া নাগরাকাটার নয়া সাইলি ও মালবাজারের সাইলি চা বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন মালবাজারের সহকারী শ্রম কমিশনার প্রণব কুমার দাস। এবারে রবিবার দুপুর দুটোয় নয়া সাইলি ও সোমবার দুপুর দুটোয় সাইলি চা বাগানের শ্রমিক-মালিক দুপক্ষকেই নিয়ে জলপাইগুড়িতে ডেপুটি লেবার কমিশনার শুভাগত গুপ্তর দপ্তরে আলাদা করে দুটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দুই বাগানের ৩ হাজার শ্রমিক। অন্যদিকে, বোনাসকে কেন্দ্র করেই শনিবার বন্ধ হওয়া আরেকটি চা বাগান চামুর্চির সমস্যা সমাধানেও তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে শ্রম দপ্তর। আগামী সোমবার দুপুর ১২টায় সেখানকার পরিচালক-শ্রমিকদের নিয়ে জলপাইগুড়িতে ডেপুটি লেবার কমিশনারের দপ্তরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বাগান পরিচালকদের পক্ষে শম্ভু শাহ বলেন, গত বছর ১৩ শতাংশের বোনাস দেওয়া হয়েছিল। এবার সব বাগানের ক্ষেত্রেই ১ শতাংশ করে কমানো হয়েছে। সেই হিসেবে ১২ শতাংশের বোনাস চুক্তি হয়। রুগ্ন বাগানটিকে দাঁড় করাতে বহু টাকা লগ্নি করা হয়েছে। ক্ষতিতে বাগান চলছে। তবুও শ্রমিকদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা ১২ শতাংশ হারের বোনাসেই রাজী হয়েছি। এটা সবাইকে বুঝতে হবে।
এদিকে, গরুবাথানের লোয়ার ফাগু চা বাগানেও বোনাস ইস্যুতে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সমস্যার সমাধানে সেখানেও শ্রমিক-মালিক পক্ষকে নিয়ে ১৭ অক্টোবর ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ডাক দিয়েছে কালিম্পংয়ের ডেপুটি লেবার কমিশনার রাজু দত্ত।