মালবাজার: ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাগানে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক চলছে। দেড় মাস বাগান বন্ধ। বাড়ছে সমস্যা। অভিযোগ, এই সময় বাগানে মৃত্যুও ঘটেছে। বাগান খোলার নিশ্চয়তা নেই। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বুধবার থেকে মাল ব্লকের সাইলি চা বাগানের শ্রমিকেরা কারখানার গেটের বাইরে ধর্না শুরু করেন। বাগান খোলা, সমস্যা নিরসনের দাবি জোরালো করা হয়। শ্রমিকদের একাংশের মধ্য থেকে সমস্যা নিরসন না হলে ভোট বয়কটেরও সুর উঠেছে।
বুধবার বন্ধ সাইলি চা বাগানের কারখানার গেটের সামনে ধর্না শুরু করেছেন বাগানের শ্রমিক কর্মচারিরা। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধর্না অব্যাহত রয়েছে। বাগানের তিনটি শ্রমিক ইউনিয়নের বাগান ইউনিট স্তরের নেতৃত্বরাও তাতে শামিল হন। এক সাধারণ চা শ্রমিক চন্দন কুজুর বলেন, ‘কোনও মন্ত্রী আমাদের বাগানে নজর দিচ্ছে না। বাগান না খুললে আমরা ভোট বয়কটের পথেই এগোবো। পোগ্রেসিভ পিপলস পার্টি অনুমোদিত চা শ্রমিক সংগঠন পিপিডব্লিউ নেতা এবারটুস এক্কা বলেন, ‘আমাদের দুটি পাক্ষিক মজুরি বকেয়া ছিল। এছাড়াও বাগানের মালিক পক্ষ পিএফ, গ্রাচুইটির অর্থ জমা করেনি। এরিয়ার বিল বাকি। বোনাসের এক শতাংশ অর্থও বাকি। বন্ধ থাকা অবস্থায় বাগানে মৃত্যু ঘটেছে। আমরা ধর্না শুরু করেছি। ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনে ভোট বয়কটের পথেই হাঁটব।’
লোকসভা ভোটের পূর্বে নিজের বিধায়ক এলাকাতে বাগান বন্ধ থাকাতে অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইকেরও। তিনি বলেন, ‘আমরা এবং আমাদের নেতৃত্বরা সাইলির পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। শ্রম বিভাগ এবং প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’ শ্রম বিভাগের মালের সহকারী শ্রম আধিকারিক প্রণব কুমার দাস বলেন, ‘আমরা সাইলি চা বাগানের ধর্না শুরু হওয়ার খবর পেয়েছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বৈঠক আয়োজনের চেষ্টাও চলছে।‘