ব্যুরো রিপোর্ট: নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে পালিত হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এদিন মালদার সামসীতে চাঁচল ট্রাফিক পুলিশ ও সামসী পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। সামসী বাজার এলাকায় প্রায় কুড়িটির মতো বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ লাগানো হয়েছে।
মালবাজারে মাল লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে এবং কিশলয় শিশুবিদ্যালয় ও মাউন্টেন ট্রেকার্স ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে গাছের চারা রোপণ করা হয়। এছাড়াও অসরকারি সংগঠন অ্য্যাকশন এইড ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় মালের বিডিও কার্যালয় সহ বিভিন্ন এলাকায় গাছের চারা রোপণ সহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়।
মেটেলি ব্লকেও পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। চালসা পথের সাথী পর্যটক আবাসের তরফে রক্তদান শিবির ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করা হয়। মেটেলি ট্রাফিক পুলিশের তরফে চালসার বীর বিরসা মুন্ডা পার্কে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন হয়। সিপিআইএমের তরফে কলাবাড়ির তেভাগা স্মারক স্তম্ভের স্থলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হয়। মূর্তির বনানী পর্যটক আবাস, টিয়াবন যুব আবাসে এদিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। মেটেলি থানায়ও এদিন বৃক্ষরোপণ করা হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও বংশীহারীতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। বংশীহারী ব্লক নদী ও পরিবেশ সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে সকালে একটি মিছিল বুনিয়াদপুর শহর পরিক্রমা করে। পরে বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পথ চলতি সাধারণ মানুষের মধ্যে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ বিতরণ করা হয়। নুরপুরে আল আমিন মডেল মিশনে সকাল সাতটা থেকে মাতৃ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষে বৃক্ষরোপণ করা হয় ও প্রত্যেককে একটি করে চারা গাছ দেওয়া হয়।
অপরদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বংশীহারী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করে। এখানে ছাত্রীদের পরিবেশ সচেতন করতে বিশেষ ক্যাম্প করা হয়। এছাড়াও বুনিয়াদপুর কলেজেও এদিন বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়েছে।
মালদায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদা শাখার সদস্য ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরিবেশ রক্ষার তাগিদে ও শহরকে সুন্দর ও দূষণ মুক্ত রাখতে পদযাত্রার আয়োজন করে। পাশাপাশি ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও মহকুমা শাসকের কাছে চাতরা বিল ও ভাতিয়ার বিলের সংস্কারের দাবি জানানো হয়।