পুরাতন মালদা: এক মাসের মাথায় মালদায় ফের মহানন্দা সেতু থেকে মরণঝাঁপ। কিছুদিন আগে শম্পা খাতুন নামে এক গৃহবধূ মহানন্দা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এবার বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ পড়ুয়া এক যুবতী মঙ্গলবাড়ীতে মহানন্দা সেতুর উপর থেকে ঝাঁপ দেয়। এখনও সেই যুবতীর খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই যুবতীর নাম খাতিজা খাতুন (১৯)। বাড়ি কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জ এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই যুবতী বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেতুর উপরে ঘোরাঘুরি করছিল এবং ফোনে কথা বলছিলেন। তার কাঁধে একটি স্কুল ব্যাগ ছিল। তারপর হঠাৎই সেই ব্যাগ রেখে জুতো খুলে ঝাঁপ দেন মহানন্দায়। সেই সময় ব্রিজের কাছাকাছি থাকা প্রত্যেকে ছুটে গেলে দেখতে পান ওই যুবতী সাঁতরে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। যদিও এদিন ওই যুবতী কালিয়াচক থেকে মালদায় কেন এসেছিল। তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শী সমীর সিংহ বলেন, ‘আমি প্রথমে যখন ব্রিজের উপর দিয়ে মালদা শহরে গেলাম তখন ওই মেয়েটিকে দেখেছি। সেই সময় অতটা খেয়াল করিনি। দেড় ঘন্টা পর আবার যখন ফেরত এলাম দেখি ব্রিজের উপরে ওই মেয়েটি ফোনে কথা বলছে। আমার একবার মনে হল জিজ্ঞাসা করি যে এখানে এতক্ষণ কেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছিল ফোনে হয়তো বাক-বিতণ্ডা হচ্ছে কারোর সঙ্গে। কিন্তু আমি আর জিজ্ঞাসা না করে এগিয়ে যাই। মঙ্গলবাড়ী পৌঁছাতেই শুনছি এই কারণে। যে ব্যাগটা পড়ে আছে ওই ব্যাগটা দেখেই বুঝতে পারছি যে ওই মেয়েটাই ঝাঁপ দিয়েছে।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রথীন দাস জানান,” আমিও তখন ব্রিজের উপর দিয়েই যাচ্ছিলাম। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যাই। গিয়ে আমরা দেখতে পাই যে মেয়েটি নদীতে হাত,পা নাড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তলিয়ে যায়। মনে তো হচ্ছে যে বয়স বেশি হবে না। কলেজ পড়ুয়া হতে পারে।”