উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakhir Bhandar) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেলাগাম মন্তব্য। বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি (BJP) নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। সোমবার তমলুকের (Tamluk) প্রচারে গিয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘আমি গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখছিলাম, ছোট ছোট কিছু বাড়ি হয়েছে। ইটের গাঁথনি হয়েছে, বাইরে প্লাস্টারিং হয়নি। কবে হবে কেউ জানে না। মানুষের এই শ্রমের দ্বারা উপার্জিত অর্থে ছোট্ট বাড়ি করা, একটা সংসার তৈরি করা, এসবের ওই চোররা কোনও মূল্য দেয় না।’
এরপরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, ‘শুধু বলবে হাজার টাকা দিয়ে দিচ্ছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। জানোয়াররা এটা জানে না মানুষ ভিখিরি নয়। যে টাকা তোমরা দিচ্ছ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামে তা তোমাদের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এটা সরকারের উপার্জন করা করের টাকা যা সারা ভারত থেকে এসেছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা নয়।’
একজন প্রাক্তন বিচারপতির এমন বেফাঁস মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। অভিজিতের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘অভিজিৎ ঠিক কথা বলেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তৃণমূলের পৈতৃক টাকা নয়। কিন্তু এই একই প্রশ্ন তাঁর নরেন্দ্র মোদিকেও করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে এলে তাঁকে অভিজিতের প্রশ্ন করা উচিত, এই যে গরিব মানুষকে র্যাশনের চাল ডাল দেওয়ার ব্যাগে মোদির ছবি লাগানো হচ্ছে, সেটা কেন? র্যাশনের টাকা কি বিজেপির বাবার টাকা?’ কুণালের কথায়, ‘শুধু তাই নয়, দেশের মানুষকে করোনার টিকা কি বিজেপির বাবার টাকায় দেওয়া হয়েছিল যে কোভিড পোর্টাল থেকে টিকার সার্টিফিকেটে মোদির ছবি লাগানো ছিল? বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী যে ৪ কোটি মানুষকে আবাসের টাকা দেওয়ার ঢপবাজি করে গেলেন, সেটাই বা কার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে দেওয়া হয়েছে।’