ফেশ্যাবাড়িঃ দু’মাসের ব্যবধানে ফের লোকালয়ে বাইসনের দাপট। বুধবার দিনভর কোচবিহার জেলার তোর্ষা তীরবর্তী নদীর চরে ৩ টি বাইসন দল দিনভর দাপিয়ে বেড়াল। লোকালয়ে ঘনঘন বাইসন ঢোকায় আতঙ্কে বাসিন্দারা। বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইসনের দলকে বাগে আনা যায়নি। প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এদিন দুপুরে মাথাভাঙ্গা- ২ ব্লকের প্রেমেরডাঙ্গার খট্টিমারি সংলগ্ন তোর্ষা চরে বাইসনের দল দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রেঞ্জার সজল পালের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসেন বন বিভাগের মাথাভাঙ্গা রেঞ্জের কর্মীরা। তোর্ষা চরে শতাধিক বিঘা কলা বাগান ও পাট খেত থাকায় এদিক সেদিক দাপিয়ে বেড়ায় তিনটি বাইসনের একটি দলটি। পরে পার্শ্ববর্তী কোচবিহার – ২ ব্লকের শালমারা চরে ঢুকে পড়ে এই তিন বুনো। সেখানে হাজির হয় পুণ্ডিবাড়ি রেঞ্জ অফিসার চন্দন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। কলা বাগান ও পাট খেতের ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষন চেষ্টা চালিয়েও বাগে আনতে পারেনি বনদপ্তরের মাথাভাঙ্গা ও পুণ্ডিবাড়ি রেঞ্জের কর্মীরা। নদীর চরে জনবসতি কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
এদিন তোর্ষা নদীর চরে কাজ করছিলেন পরিতোষ সরকার নামে এক প্রবীন স্থানীয় বাসিন্দা। তার কথায়, নদীর চরে পশুপালন সহ কৃষি কাজে সবসময় আসতে হয়। একসঙ্গে ৩ টি বাইসনের দাপাদাপিতে আতঙ্কের মধ্যেই আছি। বন বিভাগের মাথাভাঙ্গা ও পুণ্ডিবাড়ি রেঞ্জ অফিসার সজল পাল ও চন্দন ভট্টাচার্য দুজনেই জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা নামায় বাইসনগুলোকে বাগে আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বন দপ্তরের তরফে বাইসনের দলের উপর নজর রাখা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল জোড়া বাইসন ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা ব্লকের নিশিগঞ্জ ও প্রেমেরডাঙ্গা এলাকায়। পরে বন কর্মীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসন দুটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ফেরানো হয়।