গুরুগ্রাম: গুরুগ্রাম সংলগ্ন হরিয়ানার নুহতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় বাধাকে ঘিরে হিংসা ব্যাপক আকার নিয়েছে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন হোম গার্ড রয়েছেন। হিংসায় কমপক্ষে ৪৫ জন আহত হয়েছেন। গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে বুধবার পর্যন্ত নুহতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন, শান্তি নষ্ট করার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি রাজ্যের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, “আজকের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক, আমি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করছি। দোষীদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে গুরুগ্রাম সংলগ্ন নুহতে সোমবার ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা উপলক্ষ্যে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, নুহের কাছে গুরুগ্রাম-আলওয়ার জাতীয় সড়কে তা থামিয়ে দেয় একদল যুবক। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তার জেরেই এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা প্রায় ২৫০০ জন মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হিংসার জেরে পাথর ছোড়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে। শূন্যে গুলিও ছোড়া হয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হিংসার ঘটনায় প্রায় ৪৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হিংসা রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।