নিবেদিতা দাস, মাটিগাড়া: গত বৃহস্পতিবারই বীরপাড়া হাসপাতালে যখন ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় এক চা শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে, সেখানে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পিকনিক করতে দেখা গেল একদল যুবককে। শিলিগুড়ির কাছে গুলমার ঘটনা। জনপ্রিয় এই পিকনিক স্পটে এদিন চারজন যুবক হঠাৎই চলে আসেন একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে। বিনা বাক্যব্যয়ে তাঁদের ঢুকতেও দেন পিকনিক স্পটের নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিনিধি তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পিকনিকে আসার কারণ জানতে চাইলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান তাঁরা। পড়িমরি করে তখন পিকনিক স্পট থেকে পালিয়ে যায় তাঁরা। যাওয়ার সময় জানায়, অ্যাম্বুল্যান্সটি তাঁদের ব্যক্তিগত।
যদিও মাটিগাড়া ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ অরিন্দম দে বলেছেন, ‘অ্যাম্বুল্যান্সের মতো জরুরি পরিষেবা প্রদান করা একটি গাড়ি কখনই কোনও ব্যক্তিগত কাজ কিংবা পিকনিকের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।’ এই ঘটনার পরই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
অন্যদিকে, গুলমায় পিকনিক স্পটে জোরালো শব্দযুক্ত সাউন্ড বক্স বাজানোয় অতিষ্ঠ হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের কথায়, সারাদিন এভাবে গান বাজনা চলছে ফলে বন্যজন্তুরা দিনের শেষে গ্রামে আক্রমণ করছে। সুকনা বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘ওই এলাকাটি আমাদের আওতায় পড়ে না।’ এরপর চম্পাসারি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান জনক সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন তোলেননি। এদিন আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় মিত্র তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়দের সঙ্গে এসেছিলেন পিকনিক করতে। তিনি বলেন, ‘যুবক যুবতিদের জোরালো শব্দযুক্ত সাউন্ড বক্স চালিয়ে নাচ এবং মদ্যপানে পিকনিকের পরিবেশকে নষ্ট হচ্ছে।’