জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের (Food Processing Industry) বিকাশের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগ রূপায়িত করতে চলতি বছরে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির ১০ কোটি টাকা পেয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন বিভাগ দপ্তর। এই অর্থে পশু খাদ্য, মাছের খাদ্য, জ্যাম, জেলির প্রসার ঘটানো হবে। ফলের প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটও করা সম্ভব এই প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী ফর্মালাইজেশন অফ মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজেস স্কিমে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার গ্রহণ করবে। তবে আগ্রহী উদ্যোগপতিদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রকল্প অনুমোদিত হলে প্রকল্পের খরচের ৩৫ শতাংশ ক্রেডিট লিংকড মূলধন পেতে পারেন উদ্যোগপতিরা। এই ক্রেডিট লিংক মূলধন ভরতুকির পরিমাণ ইউনিট পিছু ১০ লক্ষ টাকা। উদ্যোগপতিদের ইউনিট গড়তে ১০ শতাংশ অর্থ নিজেদের বহন করতে হবে। অবশিষ্ট অর্থ ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণে পাওয়া যাবে।
উত্তরবঙ্গের মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে এই প্রকল্পের প্রসার ঘটানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হর্টিকালচার দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় এ ব্যাপারে আগ্রহী উদ্যোগপতিদের এগিয়ে আসার জন্য সরকারি পর্যায়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে হর্টিকালচার দপ্তরের অফিসাররা জানিয়েছেন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের খাদ্যসামগ্রীর বিপণনের কোনও সমস্যা হবে না। কারণ বাজার খুবই ভালো।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উন্নয়ন আধিকারিক অরুণাভ বল জানিয়েছেন, সাধারণ প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা, পরীক্ষাকেন্দ্র, গুদাম, হিমঘর, প্যাকেজিং, কেন্দ্র সহ সাধারণ পরিকাঠামো উন্নতির জন্য সমবায় গোষ্ঠী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলিকে ৩৫ শতাংশ ক্রেডিট লিংক অনুদান প্রদান করা হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যকে ছোট সরঞ্জাম কেনা এবং কার্যকরী মূলধনের জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দেওয়ার সংস্থান আছে।