মোথাবাড়ি: গঙ্গা (Ganga) নদীতে ভাসছে পাঁচটি বিরল প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস (Migratory Duck) গ্রেল্যাগ গুজের দেহ। যা ঘিরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে পাখিপ্রেমীদের মধ্যে। এই ঘটনায় বন দপ্তরের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, বন দপ্তরের নজরদারির অভাবে মালদার (Malda) কালিয়াচক-২ (Kaliachak) ব্লকের পঞ্চানন্দপুরের গঙ্গায় দেদার পাখি শিকার চলছে। ছোট মাছে বিষ ভরে নদীর বুকে চলছে শীতের অতিথি পাখি শিকার।
পাখিপ্রেমীদের কথায়, মৃত হাসঁগুলি গ্রেল্যাগ গুজ। যা বাংলায় কাদম্ব বা মেটে রাজহাঁস নামে পরিচিত। শীতে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা থেকে ওই প্রজাতির পাখি পঞ্চানন্দপুরে উড়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চড়া দামে হাঁসের মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে খাবারে বিষ মিশিয়ে পাখিগুলি মেরে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি তাঁরা বন দপ্তরে জানিয়েছেন। কিন্তু মৃত পাখি উদ্ধারে তৎপরতা দেখায়নি বন দপ্তর। যদিও বন দপ্তরের কর্তাদের দাবি, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাখিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’
স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিষ দিয়ে চোরাশিকারিরা পাখি শিকার করেছে। আমরা বিষয়টি বন দপ্তরকে জানিয়েছি। পাখি শিকারের পেছনে কারা জড়িয়ে রয়েছে, বন দপ্তর তদন্ত করে দেখুক। কিন্তু বন দপ্তরের সদর্থক ভূমিকা দেখছি না। বরং ওদের কাজ আমরাই করছি।’ যদিও কালিয়াচক রেঞ্জ অফিসার সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, ‘পাখি উদ্ধারের ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। তবে নদীর চরে আমাদের নজরদারি রয়েছে।’