ঘোকসাডাঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা: কীর্তনের প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৯২ জন। এদের মধ্যে ১৩-১৪ জন শিশু ও রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ডাউয়াগুড়ির হরিমন্দির এলাকায়। অসুস্থদের মধ্যে কেউ মাথাভাঙ্গায়, কেউ ঘোকসাডাঙ্গায় আবার কেউ ওই এলাকাতেই চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিডিও, থানার ওসি, বিএমওএইচ সহ মেডিকেল টিম। চিকিৎসাধীন সকলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দপ্তরের।
জানা গিয়েছে, রুইডাঙ্গার বাণেশ্বর দেবসিংহের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে কীর্তনের আয়োজন করা হয়। কীর্তন শেষে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের জন্য প্রসাদের আয়োজন করা হয়। সেই প্রসাদে ছিল দই চিড়ে, খিচুড়ি ও তরকারি। সবাই প্রসাদ খেয়ে বাড়ি চলে যান। সেইসময় কারোরই কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে যারা প্রসাদ খেয়েছিল তাঁদের কারও পেট ব্যাথা, পেটে অস্বস্তি বোধ করা, বমি, ডায়রিয়া সহ বেশকিছু উপসর্গ দেখা যায়। একে অপরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই হইচই পড়ে যায় পাড়াজুরে। একে একে ৪০ জন নানা উপসর্গ নিয়ে ঘোকসাডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়। এই খবর চাউর হতে না হতেই মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের বিডিও উজ্জল সর্দার, বিএমওএইচ ডাঃ সুভাষ গায়েন, এসিএমওএইচ ডাঃ অনিন্দিতা দাস, ঘোকসাডাঙ্গা থানার ওসি অজিত কুমার শা সহ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে ৩৪ জনকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা হয়। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, আয়োজন বাণেশ্বর দেবসিংহের স্ত্রী ও ছেলেও অসুস্থ।
বিডিও উজ্জ্বল সর্দারের কথায়, ‘ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় এসে স্বাস্থ্য দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মেডিকেল টিম বসিয়ে পরিস্থিতি উপর নজর রাখা হচ্ছে।‘ ফুড পয়জনিংয়ের কারণেই প্রত্যেকে অসুস্থ হয়েছেন বলে চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা।