উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শহিদ দিবসের মঞ্চে রণংদেহি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টিকে তুলোধনা করতে কোনও কসুর রাখেননি তিনি। তাঁর কথায় বারবার উঠে এসেছে মণিপুর প্রসঙ্গ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা বক্তব্য রাখলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার এক সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মণিপুর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অথচ পশ্চিমবঙ্গে একাধিক ঘটনায় মহিলাদের বিবস্ত্র করে অত্যাচার করা হয়েছে। তবে তার কোনও ভিডিও না থাকায় সবাই চুপ। এদের বিচার কে করবে? দক্ষিণ পাঁচলায় গ্রামসভায় বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর জন্য এক জন মহিলা বিজেপি কর্মীকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। এই ঘটনা কি মণিপুরের ঘটনার থেকে কম দুঃখজনক? কিন্তু এই ঘটনার কোনও ভিডিও নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ কাউকে ভিডিও করার অনুমতি দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘একই দিনে আলিপুরদুয়ার ও বীরভূমে ২ জন মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। তার মধ্যে একজনকে আবার নগ্ন করে গাধার পিঠে চড়িয়ে ঘোরানো হয়েছে।’ এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয়, ২০২১ থেকেই চলছে বলে দাবি বিজেপির। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা যদি তুলে ধরা হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারবেন তো? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, মণিপুরের ঘটনা হৃদয়বিদারক। আমরা তার নিন্দা করি। এই ধরণের ঘটনা কোথাও ঘটা উচিত নয়।তবে এই সমস্ত ঘটনা কি মণিপুরের ঘটনার থেকে কম দুঃখজনক? ৫ই অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও এর যে নির্দেশ দেন অভিষেক সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন ধরণের রাজনীতিতে বিরোধী দলের নেতাদের বাড়ি কেউ ঘেরাও করে? একজন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপির ব্লক স্তরের নেতার বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আর বিজেপি নেতাকে ৮ ঘণ্টা ঘরে ঢুকতেও দেবেন না, বেরোতেও দেবেন না।’ যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ব্লক স্তরে বিজেপি নেতাদের বাড়ির ১০০ মিটার দূরে এই কর্মসূচি হবে।