ঘোকসাডাঙ্গাঃ প্রেমিক কে স্বামী হিসেবে পেতে মরিয়া প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার ফের ধর্নায় বসা যুবতীর সাফ কথা প্রেমিক কেই বিয়ে করবে সে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে সে। এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিক ফেরার। প্রেমিকের বাড়িতে ধর্নার খবর চাউর হতে না হতেই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন স্থানীয় নেতা মাতব্বরেরা। শাসক দলের নেতা মাতব্বরদের একাংশ চাইছেন দুজনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হোক। এ নিয়ে ওই যুবতীর পরিবার কে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনও যুবতি ধর্নায় বসে রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের লতাপাতা এলাকায়। ধর্নায় বসা যুবতীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে গত দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুল হকের সঙ্গে। এমনকি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্কও স্থাপন হয় দুজনের। বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ে করতে অস্বীকার করে জিয়ারুল। এর পরই বিয়ের দাবিতে কিছুদিন আগে প্রেমিক জিয়ারুলের বাড়িতে ধর্ণায় বসেছিল যুবতী। সেবার অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রেমিকাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন স্থানীয়রা। এরপরেও প্রেমিক বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ফের বৃহস্পতিবার বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেন যুবতী। ওই যুবতীর বক্তব্য, আমি টাকা পয়সা কিছু চাই না। আমি আমার প্রেমিক কে স্বামী হিসেবে পেতে চাই। তাই ধর্নায় বসেছি। এদিকে প্রেমীকের মার অভিযোগ এভাবে এক যুবতী বাড়িতে এসে প্রেমের কথা বললেই কি প্রেম হয়? কি প্রমাণ আছে বলে প্রশ্ন তোলেন।
এদিকে কিছু স্থানীয় মাতব্বরেরা টাকার বিনিময়ে বিষয়টা মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব প্রেমিকের বাড়িতে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ধর্নায় বসা যুবতীকে মানবিকতার খাতিরে পাশের বাড়ির লোকজন রাতে ও দুপুরে খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করে। এখন দেখার বিষয় ধর্নায় বসা প্রেমিকা তার প্রেমিক কে স্বামী হিসেবে পায় নাকি প্রেম মোটা টাকায় বিক্রি হয়? এই প্রশ্ন এখন এলাকা জুড়ে।