রায়গঞ্জ: একই দড়ি দিয়ে এক যুবক ও এক গৃহবধূর কোমড়ে বাঁধা হয়েছে। দুজনের সারা মুখে কালি মাখানো, তাদের ধরে রয়েছেন গ্রামেরই এক মহিলা। শুক্রবার রাতে এমনই দৃশ্যে সাক্ষী থাকল ইটাহার থানার নন্দনগ্ৰামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল তারা। এরপর গতকাল দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে গ্রামবাসী। তারপরই মুখে গায়ে কালি মাখিয়ে, জুতোর মালা পরিয়ে, কোমড়ে দড়ি বেঁধে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী মারা গিয়েছেন আগেই। এরপর এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই মহিলার ঘরে ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর চাউড় হতেই বাড়ির সামনে লোক জড়ো হয়ে যায়। তারপরেই তাদের ঘর থেকে বের করে গ্রামবাসীরা একটি জায়গায় বসায়। তারপর শুরু হয় মারধর ও অত্যাচার। ইটাহার থানার পুলিশ ওই মহিলা এবং যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
যদিও ওই মহিলার বক্তব্য, ‘বিয়ের আগেও আমার সঙ্গে রাজিবের সম্পর্ক ছিল। বাড়ির লোক না মেনে নেওয়ায় আমাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। আমি ওকেই ভালোবাসি আমি ওকে বিয়ে করব। আমার স্বামীর কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে।‘ অভিযুক্ত যুবক রাজীব দাসের বক্তব্য, ‘আমি ওকেই বিয়ে করব। আমার সঙ্গে ওর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।‘
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলা বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। বারবার থানায় অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই গতকাল এলাকার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এইভাবে শাস্তি দিয়েছেন তারা। ইটাহার থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘গ্রামবাসীদের খবর পাওয়া মাত্রই ওই দুজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। দুই পরিবারের লোক না আসায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।‘