রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (North Bengal Medical College and Hospital) সাফাইকর্মী নিয়োগের (Recruitment) নয়া টেন্ডার ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বর্তমান এজেন্সির কাজে খুশি না হয়েই নতুন করে টেন্ডার (Tender) ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে এজেন্সির বক্তব্য, তিন বছরের জন্য চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এজেন্সির মালিক অনিমেষ দাস এর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে টেন্ডার প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালের বক্তব্য, ওই সংস্থা ভালোভাবে পরিষেবা দিতে পারছে না। কর্মীদেরও বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কাজে সন্তুষ্ট না হলে এজেন্সিকে সরিয়ে দেওয়া যাবে, নিয়োগপত্রে এমনটা বলা রয়েছে। সেই মতোই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেলকে সাফসুতরো রাখা ও রোগী পরিষেবার স্বার্থে ২৮৮ জন অস্থায়ী কর্মীকে (Temporary Worker) এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮৫ জন কর্মী এবং তিনজন সুপারভাইজার (Supervisor) রয়েছেন। এজেন্সি বদল হলেও দীর্ঘদিন ধরেই এই কর্মীরা কাজ করছেন। ২০২২ সালে পুরানো এজেন্সি বদল করে অন্য একটি এজেন্সিকে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযোগ, রোগী পরিষেবায় ওই এজেন্সি ভালোভাবে কাজ করতে পারছে না। বিভিন্ন সমস্যা বারবার জানানোর পরেও এজেন্সি পদক্ষেপ করেনি। তাই এজেন্সি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতোই নতুন এজেন্সি নিয়োগের টেন্ডারও করা হয়েছে।
অন্যদিকে এজেন্সির কর্তার দাবি, ২৮৮ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০০ জনকেই অফিসের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। কেউ ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস সামলাচ্ছেন, কেউ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের (Data Entry Operator) কাজ করছেন, আবার অনেকেই অন্যান্য অফিসে ফাইলপত্র তদারকির কাজ করছেন। মাত্র ৮০-৮৫ জনকে সাফাইকর্মী (Cleaner) হিসাবে পাওয়া যাচ্ছে। এই কর্মী দিয়ে গোটা মেডিকেল কীভাবে সাফসুতরো রাখা সম্ভব?
এজেন্সির (Agency) কর্তা অনিমেষ বলেন, ‘সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাদের এজেন্সিকে সরানো হচ্ছে। গত দু’বছরে একবারের জন্যও মেডিকেলের তরফে কাজ সন্তোষজনক নয় বলে রিপোর্ট আমাদের দেওয়া হয়নি। এখন কেন এমনটা বলা হচ্ছে।’ এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়ে অচলাবস্থায় যাতে রোগী পরিষেবায় কোনও প্রভাব না পড়ে সেদিকে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নজর রাখছে।