কিশনগঞ্জ: ভারত ও নেপালের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লি থেকে ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহাল কাঠমান্ডু থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সবুজ পতাকা দেখিয়ে, বিহারের আরারিয়া জেলার বাথনাহা রেলস্টেশন থেকে নেপালের মোরঙ জেলার বিরাটনগর পর্যন্ত কার্গো ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন। যদিও এদিনের মূল অনুষ্ঠানটি বাথনাহা রেল স্টেশনে হয়। এই উপলক্ষ্যে ভারত ও নেপালের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল দেখার মতো।
এদিনের অনুষ্ঠানে উভয় দেশের রেল আধিকারিকরা জানান, প্রথমে এই আট কিমি রুটে প্রতিদিন মালগাড়ি চলাচল করবে। পরে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তাব নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বিহারের মধুবনী থেকে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিদিন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। পাশাপাশি, এদিন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বাহরইচে, ভারত-নেপাল সীমান্ত প্রথম স্থলবন্দরের উদ্বোধন করলেন মোদি। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটায় নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই ‘রূপাইডিহা ল্যান্ড পোর্ট’-এর উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এই ল্যান্ড পোর্ট হল আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক অংশ, যেখান দিয়ে পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী যানবাহন পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রূপাইডিহা স্থলবন্দরটি তৈরি করা হয়েছে ১১৫ একর জমির উপর, খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশেই বেশ কয়েকটি চেক পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তের দুই পাশের এই চেকপয়েন্টগুলিতে এক ছাদের নীচেই দুই দেশের শুল্ক, অভিবাসন ও অন্যান্য পরিষেবা বিভাগগুলিকে আনা হয়েছে। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাকগুলির আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।