উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘যেমন খুশি দরে ছাত্র ছাত্রীর কাছে শিক্ষা বিক্রি করা যায় না’। বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলায় একথা বলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ অবিভাবক মহল। অবিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন খাতে মাত্রাতিরিক্ত টিউশন ফি বৃদ্ধি করেছে বেসরকারি স্কুল গুলি। করোনার সময়ও বিদ্যুতের বিল বাবদ টাকা দাবি করেছে বহু স্কুল। পালটা স্কুলগুলির দাবি, পঠনপাঠনের মান বজায় রাখতে ফি বৃদ্ধি দরকারি। রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অবিভাবকদের একাংশ। এই মামলায় বিচারপতি বসু বলেন, ‘বেসরকারি স্কুলের ফি নির্ধারণে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। তারা ফি ঠিক করে দিতে পারে না। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে ফি নির্ধারিত হবে তার কাঠামো তৈরি করে দিতে পারে সরকার।’
এই মামলায় সিবিএসই-র তরফে আইনজীবী বলেন, স্কুলের বেতনের ওপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যেহেতু শিক্ষা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত তাই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যকেই। এর পরই এব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান জানতে চান বিচারপতি বসু। আগামী শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দেন তিনি।