বালুরঘাটঃ বালুরঘাটে ভোটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান। খাবার চুরির অভিযোগ তুলে সরব হলেন ভোট কর্মীরা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে প্রতিবাদে শামিল হন তারা। শনিবার দুপুরে বালুরঘাট কলেজে ও গার্লস কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক ভোট কর্মী।
ভোট কর্মীদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য আসলেও তাদের দুপুরের আহার সঠিক সময়ে দেওয়া হয়নি। প্রথম ধাপে খাবার দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবে তা সকলে পায়নি। এমনকি যারা খাবার পেয়েছেন তার গুণগতমান খুবই খারাপ। দুপুর পেরিয়ে বিকেল হতে চললেও খাবার না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীরা৷ কেন এমন অব্যবস্থা তা নিয়েই মূলত ক্ষোভ দেখান শতাধিক ভোটকর্মী।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট পাঁচটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে৷ যেখানে এদিন সাড়ে পাঁচ হাজার সরকারি কর্মীকে ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বংশীহারী গার্লস স্কুল, বুনিয়াদপুর কলেজ, নারায়ণপুর হাইস্কুল, বালুরঘাট কলেজ ও বালুরঘাট গার্লস কলেজে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে বালুরঘাট কলেজে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ ও আনন্দ ধারার প্রজেক্ট ডিরেক্টর সুব্রত মহন্ত সহ একাধিক আধিকারিক। গার্লস কলেজে হাজির হয় বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা ও ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ। পরে তাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে খাবার সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। পুরোটা খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের।
ভোট কর্মী শিক্ষক শুভময় মিত্র জানান, ‘প্রশাসনের গাফিলতিতে ভোট কর্মীদের আজ হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এদিন অর্ধেক প্রশিক্ষণ চলার পরে দুপুরে খাবার নিয়ে টালমাটাল অবস্থা শুরু হয়। আমরা দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের জিজ্ঞেস করলেও তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। এত পরিমান ভোট কর্মীদের খাবারের টাকা গেল কোথায়?’
ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণের দ্বায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুব্রত মহন্ত বলেন, ‘আমাদের দুপুরের খাবারের কিছু পর খাবার আসে৷ যার জন্য কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।’